ত্রিবেণী SN9) বিলক্ষণ স্রোত ছিল। এক্ষণে বালি পড়িয়া বুজিয়া গিয়াছে। মগরার বালি বড় বিখ্যাত । কলিকাতা এবং অন্যান্ত স্থানের ধনী লোকেরা অট্টালিকাদি নিৰ্ম্মাণ-সময়ে এই বালিই সচরাচর লইয়া থাকেন। পূৰ্ব্বে এখানে অত্যন্ত ডাকাইতের উপদ্রব ছিল ।” এই সময় বৃষ্টি থামিল। আবার রৌদ্র পূর্বাপেক্ষা প্রখর তেজে দেখা দিল । দেবগণ স্ব স্ব ব্যাগ হস্তে লইয়া ত্রিবেণী-অভিমুখে চলিলেন। তাহারা কিছু দূরে যাইয়া দেখেন—প্রান্তরমধ্যে এক কালীমূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছেন। বরুণ কহিলেন, “পিতামহ । এই কালীর নাম ডাকাতে কালী ।”: ব্ৰহ্মা। ডাকাতে কালী কি ? বরুণ । আজ্ঞে, ডাকাতের ডাকাতি করিতে যাইবার সময় রজনীতে এই কালীকে পূজা করিয়া থাকে বলিয়া ইহঁার ডাকাতে কালী নাম হইয়াছে। দেবগণ এখান হইতে বৃহৎ বৃহৎ ঝাউগাছ ও পথের উভয় পার্শ্বে উত্তম উত্তম বাধান পুষ্করিণী ও ফল ফুলের বাগান দেখিতে দেখিতে ত্রিবেণীর বাজারের মধ্য দিয়া মজুমদারদের বাধা ঘাটে উপস্থিত হইলেন। সকলে ঘাটে উপস্থিত হইয়া দেখেন—গঙ্গা ঘাট হইতে দূরে গিয়াছেন। ত্ৰিবেণী দেবগণ ব্যাগ-হস্তে বালি ভাঙ্গিয়া গঙ্গাভিমুখে চলিলেন । পিতামহ গঙ্গাদর্শন-লালসায় যত দ্রুতপদে গমন করেন, ততই তাহার চটি জুতার মধ্যে বালি প্রবেশ করিয়া পদে পদে গমনের ব্যাঘাত জন্মাইয়া দেয় । র্তাহারা অতি কষ্টে জলের নিকট উপস্থিত হইলে পিতামহ ব্যাগ ফেলিয়া হস্তে যজ্ঞোপবীত সংযোগপুৰ্ব্বক গঙ্গার স্তব আরম্ভ করিলেন – *মা ! এসে মা ! একটবার দেখা দেও মা ! আমি সমস্ত পথ তোমাকে কত ডাকৃচি, কত কাচি, কেন দেখা দিচ্চ না মা ? একটবার এস,
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।