পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন একটবার দেখা দেও, দেখে চক্ষু সার্থক করি। জননি ! যে ব্যক্তি তোমাকে কি প্রাতে, কি সন্ধ্যায় ‘গঙ্গা” এই বলিয়া ডাকে, তাহার সমস্ত পাপ মুক্ত হয়। ত্রিবেণীর লোকে তোমাকে কি আর ভক্তিভাবে ডাকে না ? তাই অভিমানে ঘাট পরিত্যাগ করিয়া দূরে এসেছ ? দেবি ! তুমি সৰ্ব্বলোকের জননীস্বরূপা । যে তোমাকে নিকটে পাইয়া স্নানাদি নী করে, তাহার মুখ দেখিলে পাপ হয় । মা ! পাপীর মুখ দেখে আমার পাপ হওয়াতে কি তুমি আমাকে দেখা দিতেছ না ? যদি পাপ হইয়া থাকে, তোমার জলে অবগাহন করিয়া সকল পাপ বিসর্জন দিতেছি, একটবার দেখা দেও। আহা ! আমার মানুষের কি নিৰ্ব্বোধ ! নচেৎ মর্ত্যে এমন স্বর্গের দ্বার থাকিতে নরকে যাইবে কেন ? তারা জানে না যে, ভক্তিভাবে গঙ্গাজল স্পর্শ করিলে নরহত্যা-পাপে মুক্ত হওয়া যায়। তারা জানে না যে, গঙ্গাস্নানে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়। তারা জানে না যে, মৃত্যুকালে সর্ষপ পরিমাণ গঙ্গাজল স্পর্শ করাটলে পরম পদ লাভ হইয়া থাকে। মা ! আমায় দেখা দেও। আমি যে তোমার জন্য তোমায় দেখিবার জন্ত সংসারধৰ্ম্ম ফেলে ক্ষিপ্তের স্তায় মর্ত্যে এসেছি মা !” বরুণ । আপনি কি সত্য সত্যই উন্মত্ত হ’লেন ? ব্ৰহ্ম। কি ক’বৃতে বল ? বরুণ। আর দুই এক দিন স্থির হয়ে থাকুন, কলিকাতায় যাইয়া দেখা করিয়ে দেব। দেবগণ স্নান করিয়া পুনরায় বাধা ঘাটে আসিয়া উপস্থিত হইলে ইন্দ্র কহিলেন, “এ সব ঘাট কাহার কৃত ?” বরুণ। এই চাদনী-সংযুক্ত ঘাটট ত্রিবেণীর হরিমোহন মজুমদার নামক এক ব্যক্তির । ওদিকে ঐ চাদনী-বিহীন ঘাটট মুকুন্দ দেবের কৃত । ইন্দ্র । মুকুন্দ দেব কে ? বরুণ। ইনি উড়িষ্যার শেষ হিন্দু রাজা । ১৫৫০ সালে ইনি উড়িষ্যার