ত্রিবেণী ×)ჯyS) সিংহাসনে আরোহণ করেন। হিন্দু দেব দেবীর উপর ইহার বিশেষ ভক্তি থাকাতে ত্রিবেণীতে একটা বাধা ঘাট ও একটা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। উড়েরা এই মুকুন্দ দেবের নাম উল্লেখ করিয়া অদ্যপি মধ্যে মধ্যে বলিয়া থাকে—আমাদের রাজ্য এক সময় বাঙ্গালা দেশ পর্য্যস্ত বিস্তৃত ছিল । নারা । মুকুন্দদেবকৃত বহুকালের ঘাটটী অস্কাপি এমন আছে ? বরুণ। মধ্যে ভাস্তাড়ার ছকুলাল সিংহ নামক এক জমিদার উহার মেরামত করিয়া দিয়াছেন। বেহুলা সতী চম্পাইনগর হইতে কদলীভেলায় মৃত পতি সহ ভাসিতে ভাসিতে এই ত্রিবেণীতে আসেন এবং নেতে। ধোপানীর গৃহে আশ্রয় লন । নারা । ত্রিবেণীতে অনেক ভদ্রলোক থাকিতে বেতুলা, ধোপার বাড়ীতে আশ্রয় লন কেন ? বরুণ । বেহুলা ভেলার উপর বসিয়া কাদিতে কঁাদিতে দেখিলেন— ধোপানী যখন কাপড় কাচে, তাহার পঞ্চমবর্ষীয় পুত্র অত্যন্ত বিরক্ত করিতেছিল। অসহ হওয়ায় ধোপানী পুত্রকে এক চপেটাঘাতে হত্য করিয়া এক স্থানে বস্ত্রাচ্ছাদিত করিয়া শয়ন করাইয়া রাখে এবং কাপড় কাচা শেষ হইলে আবার জীবন দান করিয়া ক্রোড়ে লইয়া বাটী যায়। বেহুলা, ধোপানীর অমানুষিক ক্ষমতা দেখিয়া উপকার লাভের আশায় উহার গৃহে আশ্রয় লন। ঐ মুকুন্দদেবের ঘাটের কিঞ্চিৎ উত্তরে অর্থাৎ ত্রিবেণী ও বান্দাপাড়া নামক স্থানের মধ্যে একখানি প্রস্তর আছে । উহাকে নেতো ধোপানীর পাট কহে । এই সময় দেবগণ শুনিলেন—অতি ক্ষীণকণ্ঠে একটা স্ত্রীলোক বলিতেছে—
- ওঁরে দুই খাব না, আঁর দিনে, বড় দাত টকে গেছে।” দেবগণ চেয়ে দেখেন একটি গৃহে এক বৃদ্ধাকে গঙ্গাযাত্রার জন্ত আনিয়াছে। প্রাচীনার কঙ্কালমাত্র অবশিষ্ট । কথা কহিবার ক্ষমতা নাই। অতি কষ্টে