ত্ৰিবেণী vరిJ(t বরুণ। আজ্ঞে, আপনি অগ্নির দেবতা। আপনি অসন্তুষ্ট হইলে পাছে দোকানঘরে আগুন লাগিয়া সৰ্ব্বস্ব পুড়ে যায়, এজন্য আপনাকে সস্তুষ্ট করিবার নিমিত্ত অনেক গঞ্জ এবং বাজারে বর্ষে বর্ষে আপনার মূৰ্ত্তিপূজা হইয়া থাকে। দেবগণ পুজাস্থানে যাইয়া দেখেন—একখানি চালা ঘরে দেবমুৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছেন। চালার সম্মুখে এক প্রকাও আটচালা ! আটচালাখানি ঝাড়, লণ্ঠন, দেয়ালগিরি ও আয়নায় মুশোভিত । মৃত্তিকার সিংহাসনের উপর হংসোপরি ব্ৰহ্মা চারিমুখে বিরাজ করিতেছেন। তাহার এক পার্থে নারায়ণ, অপর পাশ্বে মহাদেব বসিয়া আছেন! চালে ইন্দ্র, চন্দ্র, বরুণ প্রভৃতি অনেক প্রতিমূৰ্ত্তি অঙ্কিত রহিয়াছে। প্রতিমূৰ্ত্তি তিনটকে এবং চালখানিকে অনেক টাকার রাং দিয়া সুসজ্জিত করা হইয়াছে। দেবগণ ঠাকুর দেখিতে লাগিলেন। নারায়ণ কহিলেন, “ঠাকুরদার আমাদের মরিবার বয়স, এক্ষণে হাতে বাজু তাবিজ দিয়াছে কেন ?” এই সময়ে কেবল ছলে ও নিধিরাম ঘোষ প্রভৃতি পাস্তা খেয়ে দলে দলে ঠাকুর দেখিতে আসিতে লাগিল । তাহাদের পরিধানে ময়লা কাপড়। ধোপ চাদর কোমরে বাধা । গলে কাঠের মালা, হস্তে বাঁশের লাঠি ; স্কন্ধে ছেলে । সকলেই প্রতিমার সম্মুখে আসিয়া স্কন্ধ হইতে ছেলে নামাইয়া “ম বেম্ম, অগ্নি ভয় থেঙে রক্ষে ক’রো” বলিয়া সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিতে লাগিল । উপ। কৰ্ত্ত জেঠা ! তোমাকে মা ব’ল্চে ? ওদের পুরুষ স্ত্রী জ্ঞান নেই। বরুণ। উহারা বলে—যিনি প্রসব করেন, তিনিই মা। অতএব ব্ৰহ্মা যখন এই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের স্বষ্টিকৰ্ত্তা, তখন তিনিই মা । এই সময় পুরোহিত পূজা করিতে আসিলেন। তাহার মস্তকের চুল ফেরান। পরিধানে কালাপেড়ে ধুতী। গলে একগোছা ধোপ দেওয়া যজ্ঞোপবীত–মালাকারে রক্ষিত, পায়ে বুট জুতা। হস্তে একখানি,
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।