ত্রিবেণী vరిJు. কুঁচাইয়া দেয়। উহাকেই কুঁচ নৈবেদ্য কহে। ঐ নৈবেদ্য—চালে অঙ্কিত ইন্দ্র, চন্দ্র, বরুণ প্রভৃতিকে খাইবার জন্য দেওয়া হয়। ইন্দ্র। আমরা কি পেট ধুয়ে বসে আছি ? এই মর্ত্যে এসে হাত পুড়িয়ে রেধে খাচ্চি—তথাপি কি কোনও দিন কাহারও দ্বারস্থ হইয়াছি ? নারা। বরুণ! পূজায় দুই একটা জোড় দেয় ব’ল্পে। জোড় কি ? বরুণ। যে মূৰ্ত্তির পুজা করা হয় তাহার পরিধানের জন্ত এক জোড় বস্ত্র দেয়। ঐ বস্ত্রের জোড়াট লম্বায় এক হাত, বহরে আধ হাত। মধ্যে ছিল দিয়া দুই খানার চিহ্ন দেখান হইয়াছে বলিয়া জোড় কহে। ঐ জোড় শিবের ভাগ্যেই বেশী পড়ে। নারা । জানে—উনি ভোলা মহেশ্বর, উলঙ্গ হইয়াই থাকেন, পরিবেন না। লোকে দেখুচি আজ কাল দেব দেবীর পূজা করে কেৰল রঙ্গ করিবার জন্ত । উপ। কর্তী জেঠ! আশীৰ্ব্বাদ কর—যে অমন পূজা ক’বৃবে সে যেন নিৰ্ব্বংশ হয় । o - দেবগণ আহারাদি করিয়া কিঞ্চিৎ বিশ্রামের পর দরফাগাজি দেখিতে চলিলেন। তাহার একটী পোলের উপর উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “এই পোলের নিম্ন দিয়া সরস্বতী নদী প্রবাহিত হইতেছে । চেয়ে দেখুন —যমুনাও পরপারে গঙ্গার নিকট হইতে বিদায় লইয়া ধীরে ধীরে যাইতেছেন।” ব্ৰহ্মা । আহা ! মা আমার এই স্থানে এক পড়ে ! ক্রমে সকলে দরফাগাজিতে উপস্থিত হইয়া দেখেন—একটা প্রস্তরনিৰ্ম্মিত ছাদবিহীন বাড়ী রহিয়াছে। বরুণ কহিলেন, “ঠাকুর দা! প্রাচীরে গাজির কুড়ুল দেখুন। এই কুড়ুল নড়েচড়ে, খসে না।”
- নড়ে চড়ে খসে না ।” বলিয়া, নারায়ণ হাস্ত করিতে করিতে কত টানাটানি আরম্ভ করিলেন, কিন্তু কিছুতেই খুলিতে সমর্থ হইলেন না।