ত্রিবেণী SNసి গরুটকে বাধিবার জন্ত ভৃত্যকে গৃহের বাহির করিয়া দিলেন। হতভাগ্য যেমন বুধিয়াকে বন্ধন করিতে যাইবে, বুধিয়া অমনি ছুটিয়া গিয়া শৃঙ্গাঘাতে তাহাকে হত্যা করিল এবং তার পর শাস্ত মূৰ্ত্তিতে নিজস্থানেযাইয় দাড়াইল। দরাফখ। এই সমাচারে দ্রুতপদে বাটী আসিয়া দেখেন—ভূত কলেবর পরিত্যাগ করিয়াছে । তিনি কাহাকেও কোন কথা না বলিয়া সন্ধ্যার পর পুনরায় আবার ধীরে ধীরে সেই শ্মশানভূমির সন্নিকটস্থ বটবৃক্ষের তলে যাইয়। উপবেশন করিলেন । কিয়ৎকাল পরে শুনিলেন—প্রেতিনী কহিতেছে, “ভাই! তুমি বলিয়াছিলে দরাফ খাঁর ভৃত্য বুধিয়া কর্তৃক হত হইলে ভূত হইবে এবং তাহার সহিত আমার বিবাহ দিবে ; কিন্তু কই—সে ত ভূত হইল না ।” ভূত কহিল, “হত্যার পূৰ্ব্বে বুধিয়া গঙ্গাতীরে ছুটয় যাওয়ায় তাহার শৃঙ্গে গঙ্গামৃত্তিক লাগে ; ঐ গঙ্গামৃত্তিক স্পর্শে ভৃত্য উদ্ধার হইয়া গিয়াছে।” দরাফর্থ। এই কথা শ্রবণে মনে মনে কহিলেন—“আহা ! হিন্দুর দেবতা গঙ্গার কি অসীম মাহাত্ম্য!” তিনি তৎপরদিনই সংসার পরিত্যাগ করিয়া এই স্থানে আসিয়া বাস করিলেন। সেই সময় অকস্মাৎ এক সাধু আসিয়া “যত্ত্যক্তং জননীগণৈঃ” ইত্যাদি “সুরধুনি মুনিকন্তে” ইত্যাদি পৰ্য্যস্ত একটি স্তব লিখিয়া তাহার হস্তে দিয়াই অন্তহিত হইলেন । দরাফ থ প্রত্যহ প্রাতঃস্নান করিয়া, গঙ্গাগর্ভে বসিয়া উদয়াস্ত ঐ স্তবটি একাগ্রচিত্তে পাঠ করিতেন । ৪ প্রবাদ আছে—ভাগীরথী ইহঁার স্তবে সস্তুষ্ট হইয়া দক্ষিণ হস্ত উত্তোলন করিয়া দেখাইয়াছিলেন । “উঃ ! মাগো তোমার কি মহিমা ; দেখা দে মা !” বলিয়া, পিতামহ
- এই স্তবটি দরাফ খাঁ সৰ্ব্বদা পাঠ করিতেন বলিয়া দরাফ খার কৃত বলিয়া প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। বস্তুতঃ বাল্মীকিকৃত গঙ্গাষ্টকের স্তায় ইহা বেদব্যাসকৃত গঙ্গাষ্ট্রক । এই স্তবটির ভাষা ও ভাব অতি স্বন্দর !! মৎপ্রণীত আহ্নিককৃত্যে ( দশম সংস্করণে ) এই স্তবটি অনুবাদ সহ প্রদত্ত হইয়াছে।—সম্পাদক ।
२8