❖ፃe দেবগণের মর্ত্যে আগমন । স্ত্রীলোকের স্তায় কাদিতে আরম্ভ করিলে দেবগণ সাত্বলাবাক্যে র্তাহাকে সুস্থির করিলেন । নারা । দরাফ খাঁর গৃহের ছাদ নাই কেন ? বরুণ। লোকে বলে—বিশ্বকৰ্ম্ম তাহার জন্ত এই গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিতে করিতে রজনী প্রভাত হওয়ায় ছাদ প্রস্তুত করিতে পারেন নাই। র্তাহার কুড়লখানা ভিতের উপর রাখিয়াছিলেন। অন্ধকারে দেখিতে না পাইয়া উহার উপর পাথরের ইট গাথিয়া ফেলিয়াছিলেন। দেবগণ এখান হইতে প্রত্যাগমনসময়ে একস্থানে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন “পিতামহ ! ঐ যে শিবেশ্বরের সন্নিকটে একটি স্থান দেখিতেছেন, ঐ স্থানের নিম্নে ভাগীরথীর একটা দহকে কালীদহ কহে। ঐ কালীদহে মনসার আজ্ঞায় হনুমান, চাদ সদাগরের সপ্ততরী জলমগ্ন করিয়াছিল । এখান হইতে একস্থানে উপস্থিত হইয়া সকলে দেখেন—সম্মুখে একটী চতুষ্পাঠী রহিয়াছে। উহা দেখিয়া পিতামহ মহাসন্তুষ্ট হইয়া কহিলেন “আহা! ত্রিবেণীতে সংস্কৃতালোচনা হয় দেখিয়া বড় সুখী হইলাম।” বরুণ । পিতামহ ! এই ত্রিবেণীতে এক সময় বিস্তর টোল ছিল। બર્મિાં পণ্ডিত মৃত জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের জন্য অদ্যাপি ত্রিবেণীর গৌরব আছে। ব্ৰহ্ম। জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন কে, আমাকে সংক্ষেপে বল। বরুণ। ইনি রুদ্রদেব তর্কবাগীশের পুত্র। রুদ্রদেব শেষ অবস্থায় দ্বিতীয় পক্ষে সংসার করিয়৷ এই পুত্ররত্ন লাভ করেন । জগন্নাথ পিতার বৃদ্ধ বয়সের পুত্র বলিয়া অত্যন্ত আদরের ছিলেন। বাল্যকালে অত্যন্ত দৌরাত্ম্য করিতেন—স্ত্রীলোকদের জলের কলসী ভাঙ্গিয়া দিতেন, অশ্বথতলা হইতে ষষ্ঠ ও বাবাঠাকুর তুলিয়া আনিয়া পুষ্করিণীর জলে নিক্ষেপ করিতেন। ইহার স্মরণশক্তি এত তীক্ষ ছিল যে, যাহা একবার পাঠ করিতেন, তৎক্ষণাৎ তাহা কণ্ঠস্থ করিয়া লইতেন। ইনি বাল্যকালে পিতার নিকট বিদ্যাভ্যাস করেন এবং অচিরাৎ একজন দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত হন। ইহঁার স্মরণশক্তি এত
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।