পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন দেবতার পুনরায় ভাগীরথীতে সন্ধ্য আহ্নিক করিতে চলিলেন । উপ, দোকানঘরে র্তাহাদের দ্রব্যাদি আগলাইবার জন্ত বসিয়া রহিল । চাদনীতে উপস্থিত হইয়া বরুণ কহিলেন, “বাম দিকে দেখা যাইতেছে ডাকাইত-প্রধান স্থান ডুমুরদহ। এক সময় ঐ স্থানের বালক বৃদ্ধ সকলেই ডাকাইত ছিল। ঐ গ্রামের লোকেরা বাটতে অতিথিদিগকে বাসা দিয়া রজনীতে প্রাণ সংহার করিত। দিবসে মৎস্তজীবীরা মৎস্ত ধরিত এবং রজনীতে নৌকায় বোম্বেটেগিরি করিত। ফলতঃ সে সময়ে কি জলপথ, কি স্থলপথ, কোন পথেই ডুমুরদহের নিকট দিয়া টাকা কড়ি সহ কেহ যাইলে নিস্তার থাকিত না। প্রায় ৬০ বৎসর অতীত হইল, বিখ্যাত ডাকাইত বিশ্বনাথ বাবু এই স্থানে বাস করিতেন। ইহঁার অধীন ডাকাইতের নৌকাযোগে যশোহর পৰ্য্যন্ত ডাকাইতি করিয়া বেড়াইত। পরে মত্ত অবস্থায় বিশ্বনাথ বাবু কতিপয় সঙ্গীর সহিত ধৃত হন ও র্তাহার ফাঁসি হয়। যে বাড়ীতে তিনি বাস করিতেন, উহা গঙ্গাতীরের সন্নিকটস্থ একটী দোতাল কোঠা । ঐ বাড়ীর ছাদ হইতে গঙ্গার বহুদুর পর্য্যন্ত কোথায়কে আছে দেখিতে পাওয়া যাইত ” নারা । বাবু ডাকাইত ? বরুণ। হ্যা, ইনি অগ্রে সংবাদ দিয়া শিবিকারোহণে ডাকাইতি করিতে যাইতেন। এক সময়ে আশানন্দ টেকী এই ডুমুরদহে বড় রঙ্গ করিয়াছিলেন। ইন্দ্র। আশানন্দ টেকী কে ? বরুণ। ইনি অত্যন্ত বলবান পুরুষ ছিলেন এবং দুই হস্তে দুইটা ঢেঁকী তুলিয়া অবলীলাক্রমে ঘুরাইতে পারিতেন বলিয়া ঢেঁকী উপাধি প্রাপ্ত হন। ইনি লেখাপড়া তাদৃশ জানিতেন না। অনেকে বলে—শান্তিপুরে ইহার বাড়ী ছিল। কিন্তু গুপ্তিপাড়ায় বিবাহ করাতে সচরাচর শ্বশুরালয়ে বাস করিতেন এবং ঐ স্থানের বৃন্দাবনচন্দ্র নামক বিগ্রহের বাড়ীতে চারি পাঁচ টাকা বেতনে গোমস্তাগিরি কৰ্ম্ম করিতেন। এক সময়ে আশানন্দ হুগলি