ত্ৰিবেণী ●ዓ& পশ্চাৎ গোপ-কামান স্থূলকায় কৃষ্ণবর্ণ দূতীও আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সকলে আসরে আসিয়া এই ভাবে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন, যেন রাস্ত দিয়া চলিয়া যাইতেছে। সাজান কৃষ্ণ উঠিয়া এক প্রান্ত হইতে কহিল— “বিনে ও বিদে ! বলি কথা কও”—“দৃতি, দুতি! বলি কথা কও ; ফুটো কথা কওয়ায় দোষ কি ? বিন্দে ও বিনো—” বিনে অমনি চক্ষু দুটা ঘুরাইয়া, ডাইনে বায়ে সেই সমস্ত ললিতা বিশাখা প্রভৃতিকে লইয়া লণ্ঠনের দিকে চাহিয়া দুই হস্ত বিস্তার করত দেবগণের সম্মুখে দাড়াইয়া অতি মৃদু স্বরে গান ধরিল – কৈব কি কথা, নহে কবার কথা ; কইলে কথা লোকে বলে কত কথা । ( পুনশ্চ ঘাড় হেঁট করিয়া হস্ত নাড়িয়া অতি সজোরে )— কৈব কি কথা, নহে কবার কথা ; কইলে কথা লোকে বলে কত কথা । ক’লে তোমার নাম, হয় হে দুনাম, সে বদনামে শুাম, তোলা যায় না মাথা ॥ কইলে কথা যদি কেহ দেখতে পায়, কিম্বা লোকমুখে যদি শুন্তে পায়, যে প্রকারে হউক যদি প্রকাশ পায়, হবে নিরুপায়, সে বড় লজ্জার কথা ॥ শ্রোতৃবর্গ এই সময় চতুৰ্দ্দিকৃ হইতে “হরি হরি বল ভাই” বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিল। নারায়ণ চটিয়া আগুন। তিনি দেবগণকে কহিলেন, “আপনার যাত্রা গুমুন, আমি চলাম। কি বলবো আজ । যদি সে মূৰ্ত্তিতে জীবিত থাকৃতাম তা হ’লে বেটাদের নামে ডিফামেসন অব ক্যারেক্টরের দাবিতে নালিস করে আচ্ছা জস্ব করতে পারতাম”
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।