পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৬ দেবগণের মর্ত্যে আগমন বলিয়া গাত্ৰোখান করিয়া চলিয়া যাইলেন। দেবগণের ভাগ্যেও আর গান শুনা হইল না, পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। প্রাতে দেবতারা গঙ্গাস্নান করিয়া মগরা অভিমুখে চলিলেন । র্তাহারা বারোয়ারি তলার নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন—লোকে লোকারণ্য, সকলেই একবাক্যে কহিতেছে—গান বডেড জমেছে। র্তাহারা শুনিলেন— আটচালার মধ্যে বালকগণ নাচিতে নাচিতে এই গানটী ধরিয়াছে – আর আমি যাবনা সখি! যমুনার জলে। নিতান্ত লম্পট কৃষ্ণ কলসী দেয় ফেলে ; দুতি কঁাকের কলসী দেয় ফেলে। নারা । উৎসন্ন যাও । ব্ৰহ্মা। বরুণ! অবতার হ’ল বৃন্দাবনে ; এরা এত পেয়ে বসলো কেন ? সকলে ত্রিবেণীর বাহিরে যাইলে বরুণ কহিলেন, “এই ত্রিবেণী এক সময় জনাকীর্ণ নগর ছিল। তখন ইহার শোভা-সমৃদ্ধির পরিসীমা ছিল না। সুপ্রসিদ্ধ স্মাৰ্ত্ত রঘুনন্দন ভট্টাচাৰ্য্য প্রণীত প্রায়শ্চিত্ততত্ত্বে লিখিত আছে ৪— “প্রজ্যুম্নস্ত হ্রদাৎ যাম্যে সরস্বত্যাস্তথোত্তরে। তদক্ষিণঃ প্রয়াগন্তু গঙ্গাতো যমুনা গত ॥ স্নাত্বা তত্ৰাক্ষয়ং পুণ্যং প্রয়াগ ইব লক্ষ্যতে ॥” এক সময় এখানকার জল-হাওয়া বঙ্গদেশের মধ্যে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ছিল। সেই সময় কলিকাতা ও অন্যান্ত স্থানের জমীদারেরা এখানে স্থানপরিবর্তনের জন্ত আসিয়া বাস করিতেন এবং এখান হইতে পানীয় জল লইয়া যাইতেন। এই স্থান যে স্বাস্থ্য সম্বন্ধে ভাল ছিল, তাহা অনেক পুস্তকাদিতেও দেখিতে পাওয়া যায় ; কারণ ৩৩৫ বৎসর হইল, কবিকঙ্কণ স্বরচিত কাব্যমধ্যে ত্রিবেণীসম্বন্ধে লিথিয়াছেন –