পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিবেণী ©ፃዊት সপ্তগ্রামের বেণে সব কোথাও না যায় । ঘরে বসে সুখ মোক্ষ নানা ধন পায় ॥ তীর্থমধ্যে পুণ্য তীর্থ অতি অনুপম । সপ্তঋষি-শাসনে বলয়ে সপ্তগ্রাম ॥ কাণ্ডারীর বচনে করিয়া অবগতি । ত্ৰিবেণীতে স্নান করেন সাধু ধনপতি ॥ নায়ে তুলে সদাগর নিল মিঠা পানী । বাহ বাহ বলিয়া ডাকেন ফরমানী ॥ ব্ৰহ্মা। কবিকঙ্কণ কে ? বরুণ । ইহঁার অপর নাম মুকুন্দরাম চক্ৰবৰ্ত্তা। ইনি বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তঃপাতী দামুস্তা নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইহঁার পিতার নাম হৃদয় মিশ্র ; যদিও ইহঁাদের প্রকাগু উপাধি মিশ্র—কিন্তু এতদ্দেশে চক্রবর্তী উপাধিতেই বিখ্যাত। ইনি জীবনের প্রথমাবস্থায় বিশেষ কষ্ট পাইয়াছিলেন, শেষাবস্থায় রাজা রঘুনাথ রায়ের দ্বারা প্রতিপালিত হন এবং তাহারই আদেশে চওঁীকাব্য রচনা করেন। ইনি বাঙ্গালী ভাষায়: এক জন প্রধান কবি। সম্রাট আকবরের সময় ইনি জীবিত থাকিয়া জাহাঙ্গীরের রাজ্যারম্ভ-কালে প্রাণত্যাগ করেন। নারা । ত্রিবেণীর অপরাপর বিষয় বল ? বরুণ। সরস্বতী খালে অস্থাপি মৃত্তিকা খনন করিবার সময় অনেক গুণবৃক্ষ, জীর্ণ নৌকা, ভাঙ্গ তক্ত ও শৃঙ্খলাদি প্রাপ্ত হওয়া যায়। গ্রামের কোন কোন অংশে মৃত্তিকা খনন করিতে করিতে অনেক ইষ্টকাদি ও অট্টালিকাদির চিহ্ন দৃষ্ট হইয়াছে। ফলতঃ কাল সকল সময়ে সকল স্থানকে এক ভাবে রাখে না। কালের স্রোতে ত্রিবেণী এক্ষণে অরণ্যপূর্ণ ও মনুষ্যবিহীন হইয়াছে। দুৰ্দ্ধান্ত ম্যালেরিয়া, গ্রামস্থ অপর লোকগুলিকে গ্রহণ করিবার চেষ্টা করিতেছে। এখানকার লোকের চরিত্র সাধারণতঃ