©ዓbo দেবগণের মর্ভ্যে আগমন মন্দ নহে। মাতাল অপেক্ষা গুলিখোরের সংখ্যা বেশী। ইহাদের আশঙ্কায় স্ত্রীলোকেরা প্রাতে গঙ্গাস্নান বন্ধ করিয়াছে । ত্রিবেণীতে গ্রহণ ও উত্তরায়ণের সময় বিস্তর যাত্রী গঙ্গাস্নানে আসিয়া থাকে। চলে আমুন, টিকিটের ঘণ্টা দিয়াছে । দেবগণ দ্রুতপদে যাইয়। টিকিট লইতে না লইতে ট্ৰেণ আসিয়া উপস্থিত হইল। সকলে তাড়াতাড়ি টিকিট খরিদ করিয়া গাড়ীতে উঠিয়া বসিলেন। টে,ণ আবার নক্ষত্ৰবেগে হুপান্থপ, শৰে ছুটিতে লাগিল। উপ। ঠাকুর কাক ! “কলসী দেয় ফেলে।”—ও গানটা তোমার মনে আছে। . নারা । আরে জেঠা ছেলে। তুই কি চুপ করে বসে থাকুতে পারিস নে ? ক্রমে টেণ হুগলিতে আসিয়া উপস্থিত হইল। দেবগণ গেটে টিকিট দিয়া বাহিরে আসিলেন এবং একখানি ঘোড়ার গাড়ী ভাড়া করিয়া নগরাভিমুখে চলিলেন। হুগলী বরুণ। হুগলী এক সময় অতি সমৃদ্ধিশালী নগর ছিল। ইহার পূৰ্ব্বের নাম গোলিন ; কিন্তু ক্রমে ক্রমে শেষস্থ নকারের লোপ হইয়া গোলি, তৎপরে হুগলী নাম হইয়াছে। এই সময় গাড়ী একটা বৃহদাকার বাগানের নিকট উপস্থিত হইলে নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ ! এ বাগানটী কাহার ?” বরুণ। এটা জীবন পালের বাগান। বাগানটী আয়তনে অত্যন্ত বৃহৎ। পূৰ্ব্বে এই বাগানের সন্নিকটে অত্যন্ত দম্যভয় ছিল। ইন্দ্র। ওদিকে দেখা যাইতেছে—ও বাড়ীটী কাহার ?
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।