হুগলী ❖ፃ፭› বরুণ। জজ সাহেবের বাড়ী। উহার সন্নিকটস্থ ঐ বাড়ীট রেভারেও লালবিহারী দের । দুরে দেখ সিঙ্গুরের নব বাবুর বৈঠকখানা। পূৰ্ব্বে ঐ বৈঠকখানায় হুগলীর নৰ্ম্মাল স্কুল বসিত। এক্ষণে নৰ্ম্মাল স্কুল চুচুড়ায় বারিকের মধ্যে বসিতেছে । ব্ৰহ্মা। বরুণ ! তুমি বলিলে, রেভারেও লালবিহারী দে। ঐ নামের সমস্তই বাঙ্গালা ; কিন্তু নামের পুৰ্ব্বে একটা ইংরাজী কথা বসিবার কারণ কি ? বরুণ। আজ্ঞে, ইনি খৃষ্টান হওয়াতে ঐ উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছেন। ইনি বঙ্গদেশের মধ্যে একজন উপযুক্ত লোক। ইহার বিশেষ গুণ এই, সাধারণ প্রজাবর্গের দুঃখে বড় কাতর হন। এবং তাহদের দুঃখ দূর করিতেও সাধ্যমত চেষ্টা করেন। ব্ৰহ্মা। লালবিহারী দের জীবনবৃত্তান্ত আমাকে সংক্ষেপে বল । বরুণ। ইনি ১৮২৬ অবো বৰ্দ্ধমানের সন্নিকটস্থ পলাশী নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে ইনি কলিকাতায় “জেনেরল এসেম্ব্লিজইনষ্টিটিউসন” নামক বিদ্যালয়ে বিদ্যাধ্যয়ন করিয়াছিলেন। ১৮৪৩ অব্দে ইনি খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন এবং তৎপরে ছয় বৎসর কাল বিজ্ঞানশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। ১৮৫১ অব্দে ইনি ধৰ্ম্মপ্রচারকের পদ প্রাপ্ত ও ১৮৫৫ অব্দে ধৰ্ম্মযাজকের পদে বৃত হন। ইহার পর কয়েক বৎসর কালনায় প্রচারক কাৰ্য্যলয়ের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন । ১৮৬০ অব্দে হেদুয়ার গির্জায় ধৰ্ম্মযাজকের পদে নিযুক্ত হন । ইনি ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে ইংরাজী ভাষায় অনেকগুলি বক্তৃতা করিয়া ক্রমে তাহা পুস্তকাকারে প্রচার করিয়াছেন। ইতিপূৰ্ব্বে বাঙ্গালা ভাষায় বৈদাস্তিক মত সম্বন্ধেও একখানি পুস্তক লিথিয়াছিলেন এবং খৃষ্টধৰ্ম্ম প্রচার জন্য অরুণোদয় নামক একখানি পত্রের প্রায় দুই বৎসর কাল সম্পাদকতা করিয়াছিলেন । ১৮৬৪ অবোঁ কলিকাতায় আসিয়া ইণ্ডিয়ান রিফরমার ও ফ্রাইডে রিভিউ নামক দুই খানি সাপ্তাহিক ইংরাজী
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।