দেবগণের মর্ত্যে আগমন । نه سران পত্র প্রচার করেন। ১৮৭৬ অব্দে ইনি বহরমপুর কলেজের প্রধান শিক্ষকের পদে নিযুক্ত ও ১৮৭২ অব্দে হুগলী কলেজে বদলি হইয়াছেন। ১৮৭৬ অব্দে অধ্যাপকপদে নিযুক্ত হইয়া শিক্ষাবিভাগের চতুর্থশ্রেণীভুক্ত হুইয়াছেন ; ইনি সাধারণ লোকের শিক্ষা সম্বন্ধে প্রাইমারি এডুকেশন অব বেঙ্গল নামক একখানি পুস্তক লিখিয়াছেন। ইহার প্রণীত গোবিন্দ সামস্ত নামক একথানি ইংরাজী উপন্যাস-পুস্তকে বাঙ্গালাদেশের প্রজাদিগের অবস্থা অতি সুন্দর ও বিশদরূপে বর্ণিত আছে। এই গ্রন্থ ইংলণ্ডে অতি সমাদরের সহিত গৃহীত হইয়াছে। এক্ষণে ইনি বেঙ্গল ম্যাগাজিন নামক একখানি ইংরাজী মাসিক পত্রের সম্পাদক। প্রাচীন বাঙ্গাল উপকৃথগুলিকে ইনি ইংরাজী ভাষায় রূপান্তরিত করিয়াছেন। ক্রমে দেবগণের গাড়ী অরণ্যপূর্ণ অসংখ্য ডোবা ও বন-জঙ্গলের নিকট দিয়া আসিয়া হুগলীর চকের মধ্যে প্রবেশ করিল। তাহার দেখেন, দোকানে নানা প্রকার দ্রব্যাদি বিক্রয় হইতেছে। কোন দোকানে কাদি কাদি কলা টাঙ্গান রহিয়াছে। কোন দোকানে শ্লেট, পেন্সিল, বটতলার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুস্তক এবং কালী ও দুর্গার পট বিক্রয় হইতেছে। কোন দোকানে হালদার মহাশয় কচুরির মধ্যে বুটের ডালবাট প্রবেশ করাইয়া হস্তে চেপ্টাইয়া উত্তপ্ত ঘৃতে ছাড়িতেছেন। কোন দোকানে বস্ত্রবিক্রেতার গজে বস্ত্র মাপিয়া কপালে ঘসিয়া চিহ্ন করিয়া সজোরে “ফঁস ফাস" শব্দে ছিন্ন করিতেছে। রাস্তায় স্কুলের ছেলের বাহির হইয়াছে, কোন দুষ্ট বালক অপর বালককে প্রহার করাতে সে র্কাদিতেছে এবং স্কুলে যাইয়া মাষ্টারকে বলিয়া দিবে বলিয়া ভয় দেখাইতেছে । ক্রমে দেবগণের গাড়ী হুগলীর কালেক্টরির সন্নিকটে উপস্থিত হইলে তাহার গাড়োয়ানকে বিদায় দিয়া একটা দোকানঘরে যাইয়া উপবেশন করিলেন। ইন্দ্র। বরুণ । সম্মুখে ঐ গভীর নদীর স্তায় দেখা যাইতেছে—কি ? বরুণ। মুসলমান রাজত্বকালে হুগলী নগর সৌন্দর্য্যে প্রায় মুরশিদ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।