হুগলী శ్లా) বাদের সমকক্ষ ছিল ; সেই সময় এখানে একজন করিয়া ফৌজদার বাস করিতেন। ঐ ফৌজদারের অধীনে অনেকগুলি করিয়া সৈন্ত থাকিত ; তদ্ভিন্ন তাহার এখানে একটা সুদৃঢ় গড় খনন করাইয়াছিলেন। সেই গড়ের সুগভীর খাত অস্থাপি বর্তমান রহিয়াছে। দেবগণ বিশ্রামের পর স্নান করিতে চলিলেন । সকলে একটা বাধা ঘাটে উপস্থিত হইলে পিতামহ কহিলেন, “বরুণ ! এ সুন্দর ঘাটট নিৰ্ম্মাণ করে কে ?” বরুণ। স্মিথ নামক একজন সাহেবের যত্নে ও উদ্যোগে এই ঘাটটী নিৰ্ম্মিত হয় বলিয়া ইহাকে স্মিথ সাহেবের ঘাট কহে । এই ঘাট প্রস্তুত করিবার সময় হুগলী জেলার যাবতীয় জমীদার সাহায্য করিয়াছিলেন। জমীদারদিগের মধ্যে ভাস্তাড়ার সিংহ বাবুরা সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী টাকা চাদ দেওয়াতে র্তাহাদের বাড়ীর দ্বারে শাস্ত্রী পাহারা থাকিবার হুকুম হয়। ঘাটে নামিয়া দেবগণ স্নান আহ্নিক সারিলেন এবং বাসায় আসিয়া চাউলে ডাইলে চাপাইয় দিলেন। পিতামহ দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া কহিলেন, “মর্ত্যে আসিয়া ক্রমেই কালবিলম্ব হইতে চলিল। জানি না, আমার বাড়ীতে কি হইতেছে। গিন্নী মাগী একা, অসুখ হইলে কেইবা ঔষধ দেবে, কেইবা পথ্য দেবে ? আবার খন্দ কুটো গুলোর সময় বাড়ী হইতে আসায় বিস্তর ক্ষতিও হইবার সম্ভাবনা । গরুগুলো হয় ত সময়ে ঘাস জল পাবে না, হাসগুলোকে হয় ত শিয়ালে মেরে ফেলিবে ।” উপ। আমার শালিক পাখিটার ও বেঁজির বাচ্ছাটর যে কি হ’চ্চে— ভেবে কিছু ঠিক ক’বৃতে পাচ্চিনে । বাড়ীতে যে বিড়ালের উপদ্রব, খেয়ে না ফেলে ! বাবার যেমন বুদ্ধি-রেলওয়েতে চাকরী করতে পাঠালেন। রেলওয়েতে শত শত শনি বিরাজ ক’চ্চেন—তার খোজ রাখেন না। আহারাস্তে দেবগণ কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিয়া জজ সাহেবের কাছারির নিকট আসিয়া দেখেন —ভোলানাথ হালদার, কাশীনাথ সেন এবং মাধব
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।