ఛిr দেবগণের মর্ত্যে আগমন মঞ্জরার নাতী পদ্মনাথ ময়রা জুরি সাজিয়া আসিয়া বটতলাতে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ক্রমে জজ সাহেব আসিলেন, বিচার আরম্ভ হইল। তখন জুরিরা যাইয় নিজ নিজ স্থান দখল করিয়া বসিলেন। দেবগণ দেখেন— বিচার আরম্ভ হইলে কাশীনাথ সেন নাসিক ধ্বনি করিয়া নিদ্রা যাইতে লাগিলেন। কাশীনাথকে নিদ্রা যাইতে দেখিয়া ভোলানাথ হালদার গ৷ ঠেলিয়া কছিলেন, “কাশীনাথ খুড়ো ! কচো কি ? সাক্ষীরা কি বলে, না শুনলে এর পর বিচার করবে কেমন করে ?” কাশীনাথ ‘ব্ল্যা p শব্দে উত্তয় দিয়া তুড়ি দিতে দিতে কহিল, “আহারের পর নিদ্রা যাওয়াটা অভ্যাস থাকায় একটু তন্ত্র আসছিল । তুমি ভাল ক’রে শোন ; তার পর তুমিও যা ব’লবে, আমিও তাই ব’লবো। . ঐ কথা দুটাে কি ?—একটা “নটু গিলটি" আর একটা “গিলটি”—কেমন নয় ?” এখান হইতে বাহিরে আসিয়া দেবগণ দেখেন—আমলা, মোক্তার এবং উকীলের দল একটী বাবুকে লইয়া ব্যঙ্গ করিতেছেন। একজন মোক্তার কহিতেছেন, “মহাশয়েরা এই বাবুটকে ভাল করিয়া দেখিয়া রাখুন। পারেন ত গোবরের ছাচ করিয়া ইহঁর মূৰ্ত্তি তুলিয়া লউন । ইনি একজন কম লোক নহেন ; লোকে পিতৃঋণ পরিশোধ করিতে পারে না। কিন্তু ইনি পিতৃঋণ পরিশোধ করিয়া কিঞ্চিৎ ফাজিল হওয়ায় ডিক্রি করিয়া বাপের বার্তুঘর বিক্রয় করিয়া লইবার জন্ত নালিশ করিয়াছেন।” ব্ৰহ্মা। বরুণ ! কাণ্ডটা কি ? বরুণ। ঐ বাবুটী এক সময় পিতার সহিত বিবাদ করিয়া বাট হইতে চলিয়া যান। ইহঁার বাট হুগলী জেলার অধীন বেণীপুর থানার অন্তর্গত। বাট হইতে প্রস্থান করার অব্যবহিত পরে উহার কমিসরিয়েটে কৰ্ম্ম হয় । ঐ কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইয়া বাবু বিপুল অর্থ উপার্জন করিয়া স্বদেশে আগমন করেন ; কিন্তু পিতার উপর রাগ থাকায় পাছে তাহার মুখ দর্শন করিতে হয়, এই আশঙ্কায় আর পিতৃভবনে যাইলেন না। স্বতন্ত্র বাস করিবার জন্ত
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।