হুগলী ף-לסי তাহার ১৮১৯ বৎসরের পুত্র। তাহাদিগকে দেখিয়া ছ এক জন ভদ্রলোক ছুটিয়া আসিয়া কহিলেন, “ঘনশুামকে পেলেন কোথায় ?” বাবু কহিলেন, “অনেক সন্ধানে দেখি, ও খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়৷ খৃষ্টানদিগের সহিত বসিয়া খান খাইতেছে। অনেক ভুলাইয়। তবে আনিলাম।” একজন কহিলেন, “উনি খৃষ্টান হইয়াছেন, গৃহে নিলে কোন গোল হবে না ?” বাবু বলিলেন, “গোল হবে কেন ? আমি প্রচুর অর্থ ব্যয় করিয়৷ কাশী, কাঞ্চী, তৈলঙ্গ, দ্রাবিড় এবং নবদ্বীপ প্রভৃতি স্থান হইতে চৈতনধারী মহাত্মাদিগকে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিব । তাহারা অর্থের প্রলোভনে দীর্ঘ দীর্ঘ বচন সকল উদ্ধত করিয়া সমাজে লইবার ব্যবস্থা দিবেন । খান কে না খায় ? কিন্তু কয়জনে জাতিচু্যত হইয়াছে ? তবে ঘনভ্যাম খৃষ্টান হওয়ায় ইংরাজী কাগজওয়ালার প্রকাশ করিয়া দিয়াছে—ঐ যা একটা দোষ।” বাবুটী চলিয়। যাইলে পিতামহ কহিলেন, “বরুণ, আজকাল মর্ত্যে জাতিবিচার বেশ ! গোপনে সবই চলিতেছে, প্রকাশ হইলেই যত গোল । কিন্তু তাহাও আবার পয়সা থাকিলে ঢাকিয়া যায়। য়্যা ! তবে দেখিতেছি, জাতি বাক্সের মধ্যে ।” দেবতারা গঙ্গার ধারে ধীরে চলিলেন । ভাগীরথীতীরে অসংখ্য সুন্দর সুন্দর অট্টালিকা দেখিয়া দেবরাজ কত প্রশংসা করিতে লাগিলেন । বরুণ কহিলেন, “১৫৩৭ খৃঃ অন্ধে পর্তুগীজের এই হুগলী নগর নিন্মাণ করে। ১৬২৮ অব্দে এখানে অনেক পৰ্ত্ত গীজ বাস করিত । তাহাদের একটা স্বরক্ষিত কুঠার ছিল । সাজাহান, দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করিবার পূৰ্ব্বে, একবার হুগলীতে আসিয়া দেখিয়া যান যে, উহারা বলপূৰ্ব্বক দেশীয়দিগকে খৃষ্টান করুিয়া থাকে। এই নিমিত্ত তিনি অত্যন্ত কুপিত হইয়াছিলেন এবং এই ক্রোধ তাহার মনে জাগরুক থাকায় সিংহাসন প্রাপ্ত হইয়। পটুগীজদিগকে দেশ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিবার আজ্ঞা দেন। তদনুসারে ১৬৩২ অব্দে হুগলী নগর মুসলমানের অবরোধ করিয়া প্রায় চারি সহজ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।