○b* দেবগণের মর্ত্যে আগমন পর্তুগীজকে বন্দী করিয়াছিল ও এই ঘটনার পর পর্তুগীজের আর কখনও বাঙ্গালায় প্রভাবশালী হয় নাই। এই সময় হইতেই নগরটা মোগলদিগের হস্তগত হইয়া বাঙ্গালার মধ্যে প্রধান বাণিজ্যস্থান হইয় উঠে ; তদবধি সপ্তগ্রামের অবনতি হইতে আরম্ভ হয় ।” ইন্দ্র। সপ্তগ্রাম কোথায় ? বরুণ । এই হুগলী নগরের কিঞ্চিৎ উত্তরে। পুরাণে ঐ সপ্তগ্রামের বা সাত গায়ের উল্লেখ আছে। সপ্তগ্রাম বাঙ্গালার মধ্যে একটা প্রধান বাণিজ্যস্থান ছিল। উহার প্রস্তরনিৰ্ম্মিত বৃহদাকার স্তম্ভগুলি দেখিতে বড় সুন্দর। ঐ স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণকার্য্যে প্রায় ২৫,০০০ টাকা ব্যয় হয়। তিন শত বৎসর পূৰ্ব্বে ঐ স্থানের নিম্ন দিয়া অনেক বাণিজ্যপোত যাতায়াত করিত। তখন উহার সৌন্দৰ্য্য ও ধূমধামের সীমা ছিল না। ঐ সপ্তগ্রামে একটা দুর্গ ছিল, উহার ধ্বংসাবশেষ অদ্যাপি গ্ৰাওন্ট্রাঙ্ক রোডের সন্নিকটে দেখিতে পাওয়া যায়। উহারও সন্নিকটে একটী পুরাতন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ বর্তমান আছে। পাণ্ডুয়ার গে-যুদ্ধে যে সমস্ত মুসলমান হত হয়, তাহাদের অনেকের কবরও সপ্তগ্রামে আছে । উপ। বরুণ কাকা । তাহারা কি ভূত হইয়াছে ? বরুণ। ভূত হবে কেন ? - উপ। তবে যে লোকে বলে “সাতগেয়ের কাছে মামৃদো বাজী ?” বরুণ। একশত বৎসর পুৰ্ব্বে ঐ সপ্তগ্রামে ওলন্দাজদিগের একটা বাগানবাটী ছিল। গ্রীষ্মকালে সেই বাগানে তাহার ভোজনাস্তে বিশ্রামসুখ অনুভব করিত। ১৫৬৬ অব্দে যখন ঐ স্থান একটী বিখ্যাত বাণিজ্যস্থান । হইল, তখন প্লিনিদিগের দ্বারা অনেক বাণিজ্যদ্রব্য আমদানী ও রপ্তানী হইত। সপ্তগ্রামে রোমকেরাও বাণিজ্য করিতে আসিত। তাহার উহাকে গ্যাজেসরিজিয়া বলিয়৷ ডাকিত। বঙ্গদেশের রাজার অধিকাংশ । সময় ঐ নগরেই অতিবাহিত করিতেন। ইউরোপীয়ের প্রথমে এদেশে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।