পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిన్స్టన్చ দেবগণের মর্ত্যে আগমন করিয়া ব্যাগ হস্তে লইয়া কোথায় যাইতেছেন। একটা প্রাচীন রমণী কহিতেছেন, “যত টাকা লাগে দিয়া জামাইকে আন্তে চাস, নইলে বড় কলঙ্ক হবে, লোকের কাছে মুখ দেখান যাবে না ।” t o উহারা চলিয়া যাইলে পিতামহ কহিলেন *ওরা বল্লে—নইলে কলঙ্ক হবে লোকের কাছে মুখ দেখান যাবে না –বরুণ! কলঙ্ক হবে কেন ?” বরুণ। আপনাকে কিছুই গোপন করিবার যে নাই। হয়েছে কি ! ঐ বাড়ীর একটী কস্তার কুলীনে বিবাহ হয়। জামাই রাগ করিয়া গিয়া প্রায় চারি পাঁচ বৎসর আসেন নাই। এক্ষণে মেয়েটর গর্ভাবস্থা। অতএব এই সময়ে জামাইকে টাকা দিয়া সন্তুষ্ট করিয়া আনিয়া তৎপর দিন গর্ভ প্রচার করিলে তত দোষ হইবে না। নারা । ভাল, যদি কেহ দিন গণে দেখে ধ’রে ফেলে ? - বরুণ। তখন ছেলেটা সাতাসে কি আটাসে—যাহা হউক বল্লেই হ’লে । ব্ৰহ্মা। ঐবিষ্ণু! ম্যা। আজ কাল বুঝি এইরূপ ক’রে কলঙ্কের হাত এড়ান হয় ? বরুণ। এর। তবু ভদ্র। অনেক স্থলে নষ্ট করিয়া ফেলে। দেবগণ অনেকক্ষণ রাস্তায় রাস্তায় বেড়াইয়া বেলা আন্দাজ সওয়া দশটার সময় কলেজ কম্পাউণ্ডের মধ্যে প্রবেশ করিয়া এক দৃষ্টি বাড়টির দিকে চাহিতে লাগিলেন। বরুণ কহিলেন "ইহারাই নাম হুগলী-কলেজ। কলেজের উপরে ইহার প্রিন্সিপাল বা কৰ্ত্ত সাহেবের বাস। ওদিকে দেখুন রসায়ন-বিদ্যালয়। ঐ বিদ্যালয়ে রসায়নশাস্ত্র শিক্ষা দেওয়া হয়। গৃহমধ্যে শিক্ষোপযোগী অনেক যন্ত্র আছে।” ইন্দ্র। এই বাড়ীট বড় চমৎকার! বরুণ। এই বাড়ীট প্রাণকৃষ্ণ হালদার নামক একজন জমীদারের বৈঠকখানা ছিল। ঐ প্রাণকৃষ্ণ হালদার নোট জাল করা অপরাধে দ্বীপান্তরিত