পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• Sసి8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন খরচ পত্র বাদ প্রায় সাত লক্ষ টাকা জমিয়াছে। বোর্ড ঐ টাকা হইতে একটা মাদ্রাসা করিবার জন্ত গবৰ্ণমেণ্টের নিকট প্রার্থনা করেন । এই বিষয়ের তর্ক বিতর্ক হইতে প্রায় তিন বৎসর অতীত হয় এবং মুদে আসলে আট লক্ষ কষেক সহস্র টাকা জমে। অনেক বিবেচনার পর গবর্ণমেণ্ট একটী কলেজ স্থাপনের অনুমতি দেন। তদনুসারে ১৮৩৬ অব্দের ১লা আগষ্ট হুগলী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় । ৬.৫৯,৬৬৪ টাকা এই কলেজের ব্যয় জন্ত দান স্থির হয়। তদ্ভিন্ন গবর্ণমেণ্ট উক্ত মহম্মদ মহসীনের দানের টাকা হইতে একটা অতিথিশালা ও একটী চিকিৎসালয়ও করিয়া দিয়াছেন। এই সমস্ত টাকা মাতয়ালিদিগের ও তাজিয়ার ব্যয়ের টাকা হইতে সংগৃহীত। গবর্ণমেণ্ট মহসীনের টাকায় আর একটী মহৎ কাৰ্য্য সংসাধিত করিয়াছেন, অর্থাৎ কলেজে মুসলমান ছাত্রদিগের বেতন এক টাকার বেশী লওয়া হইবে না ও প্রায় একশত আন্দাজ ছাত্রকে আহার দেওয়া ও উৎকৃষ্ট ছাত্রদিগকে বৃত্তি দেওয়া হইবে, এইরূপ ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছেন। এই সমস্ত কারণে এখানে মুসলমান ছাত্র বেশী। ব্ৰহ্মা। সাধু সাধু! যতকাল হুগলী কলেজ থাকিবে, মহম্মদ মহসীনের নাম কেহ বিস্তৃত হইবে না। বরুণ! আমার হিন্দুসস্তানদিগের মধ্যে যদি কেহ নিঃসস্তান থাকেন, এইরূপ অক্ষয়কীৰ্ত্তি স্থাপন করিতে যত্ন করেন না কেন? বরুণ । তাহার বলেন—সৎকৰ্ম্ম করা অপেক্ষ পিতৃপুরুষগণের নাম রক্ষার্থ পোষ্যপুত্র গ্রহণ করা উচিত এবং এই জন্ত অনেকে মৃত্যুকালে একট, একটার অভাবে তিনটা ও কখন সাতটা পোষ্যপুত্ৰ লইবার অনুমতি করিয়া যান । ইন্দ্র। সে ছেলেরা করে কি ? বরুণ। যতদিন সে পিতা জীবিত থাকেন, ততদিন তার মরণ কামনা করে—তার পর বয়স হইলেই মদ, গাজা ও বেস্তায় বিষয় উড়ায় । সে -মাতা গর্ভধারিণী নহেন, তবে তাহার স্বামীর বিষয় ; এই জন্ত দুই চারি