চু চুড়া రిన(t টাক মাসহারাদিয়া চাকরাণীর মত খাটাইয়া লন। ভগীরাও কিছু সহোদর নহে, সুতরাং তাহাদের বাপের বাড়ী আসা ঘুচে যায়। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! মহম্মদ মহসীন কে এবং কি উপায়েই বা তিনি অতুল ঐশ্বৰ্য্যের উত্তরাধিকারী হন, তদ্বিষয় আমাকে বল । বরুণ। আগা মতাহার নামক একজন ধনী মুসলমান এই হুগলী নগরে বাস করিতেন। তাহার স্ত্রীর সহিত তাদৃশ সদ্ভাব না থাকায় মৃত্যুকালে সমস্ত বিষয় একমাত্র কন্যা মন্ত্র জান খানমকে অর্পণ করিয়া যান। স্বামীর এইরূপ আচরণে মতাহার-পত্নী অসন্তুষ্ট হইয়া হুগলীনিবাসী হাজি ফয়িজুল্লা নামক এক ব্যক্তিকে বিবাহ করেন । এই দম্পতী হইতেই ১৭৩২ খ্ৰীষ্টাব্দে মহম্মদ মহসীনের জন্ম হয় । মনুজান খানম মিরজা সাল উদ্দীন মহম্মদ নামক এক ব্যক্তিকে বিবাহ করেন। হুগলী নগরে মিরজা-সালের হাট নামক হাটটা ইহারই স্থাপিত। মজান খানম কিছুদিন পরে বিধবা হইলে আর দ্বিতীয় বিবাহ করিলেন না । ইহঁার সন্তান সপ্ততিও ছিল না ; স্বতরাং সমস্ত বিষয় বৈপিতৃক ভ্রাতা মহম্মদ মহসীনকে দান করিলেন। মহম্মদ মহসীন বিবাহ-প্রথার নিতান্ত বিরোধী ছিলেন। জীবিতকালে ফকিরী অবস্থায় বাস করিয়া যাবতীয় অর্থ দান ধ্যানে ব্যয় করিতেন, এবং মৃত্যুকালেও ঐ উদ্দেশ্রে অর্পণ করিয়া গিয়াছেন । ১৮১২ অব্দের নবেম্বর মাসে ইনি কলেবর পরিত্যাগ করেন । নারা । বরুণ ! কলেজের ওদিকের গৃহে একটী ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের নিকট একজন সাহেব দাড়াইয়া গল্প করিতেছেন । ঐ পণ্ডিতটী কে ? বরুণ । উহার নাম রামগতি দ্যায়রত্ন । উনি এই কলেজের সংস্কৃত শাস্ত্রের প্রধান অধ্যাপক । ব্ৰহ্মা । ইহার বিষয় আমাকে কিছু বল । বরুণ। ইনি ১৭৫৩ শকে পাণ্ডুয়ার সন্নিকটস্থ ইলছোবা নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইহঁার পিতার নাম vহলধর চূড়ামণি। প্রথমে উনি
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।