চন্দননগর দেবগণ একখানি ঘোড়ার গাড়ী ভাড়া করিয়া নগরাভিমুখে চলিলেন। তাহারা নগরের শোভা সনদর্শনে এত মুগ্ধ হইলেন যে, গাড়োয়ানকে কোন্ স্থানে থামাইতে হইবে বলিতে ভুলিয়। যাইলেন। গাড়োয়ানও বিন বাক্যব্যয়ে একেবারে তালডাঙ্গার ফটকের নিকট উপস্থিত হইয়া কহিল, *বাবু! নেমে ভাড়া দিন ।” ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এ কোন স্থানে আনিয়া নামাইয়া দিলে ? বরুণ। এই স্থানের নাম তালডাঙ্গার ফটক। এই তালডাঙ্গার ফটক হইতেই ফরাসী রাজ্য আরম্ভ হইয়াছে । এ নগরে ফরাসী গবৰ্ণমেণ্টরই আধিপত্য বেশী । ইহা ফরাসীদিগের রাজ্য বলিয়া নগরটার অপর নাম ফরাসডাঙ্গ। ফরাসডাঙ্গা কলিকাতা হইতে ২১ মাইল দূরে অবস্থিত। এই স্থানের চতুৰ্দ্দিকে ইংরাজরাজ্য ; মধ্যস্থলে গঙ্গার পশ্চিম কুলে বিন্দুমাত্র চন্দননগর বিরাজ করিতেছে। ১৬৭৩ খৃঃ অব্দে ফরাসীরা এই নগর নিৰ্ম্মাণ করে। এই নগরের একাংশ ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের অধিকারভুক্ত। ফরাসী চন্দননগরে প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার লোকের বাস । - কিছু দূরে যাইয়া উপ চীৎকার করিয়া কহিল, বরুণকাক, ও কি ! কতকগুলা লোক কাঠের মধ্যে পা ঢুকিয়ে দিয়ে চিৎ হয়ে পড়ে রয়েছে কেন?” বরুণ। চুপ কর। গোল করলে তুড়,ম ঠোকাবে। নারা। তুসুম কি ? বরুণ। একথও কাঠের ফুটার মধ্যে পা প্রবেশ করাইয়া দিয়া আর একখণ্ড ফুটা কাষ্ঠ তদুপরি রাখিয়া খিল আঁটিয়া চিৎ করিয়া ফেলিয়া, রাখার নাম তুড়ুম ঠোকা। যে গৃহে ঐ কাও হইতেছে উহার নাম কোতোয়ালি । ইংরাজরাজ্যে কোন ব্যক্তি দোষ করিলে হাজতে দেয় ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।