পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o 8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন একজন কহিল, “বেটী তাতি ফরাসী রাজ্য ব’লে বেঁচে গেলেন । ইংরাজ রাজ্য হ’লে বাছাকে শুরকি ভাঙ্গাতে । বাবা! আত্মহত্যা ক’বৃতে যাওয়া সহজ নয় ।” ব্ৰহ্মা। বরুণ । তুমি ব’লে “ইহারা গুলির আড্ডার গুলিখোর।” কিন্তু আমি ত কিছু বুঝতে পারিলাম না। - বরুণ। আজ্ঞে, আপনার স্বঃ আফিং মর্ত্যে দুই মূৰ্ত্তিতে ব্যবহৃত হয়। এক মূৰ্ত্তি কাচা,—অপর মূৰ্ত্তি পাকা । কঁাচার নাম আফিং, পাকার নাম গুলি। সেইগুলি যাহারা খায়, তাহাদিগকে গুলিথোর কহে । ইন্দ্র । গুলিখোরদিগের সরঞ্জাম ত বেশ ! বরুণ। ঐ সমস্ত সরঞ্জামের আবার ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। ঐ যে কলসীর কণার উপর ডাব হুক আছে, ঐ ছক এবং নলটার নাম তোড় জোড়, এবং ঐ ভাঙ্গা কন্ধের নাম মেরু । এই সময় একজন গুলিখোরকে ছিট অন্বেষণ করিতে দেখিয়া নারায়ণ কহিলেন, “লোকটা কি অমুল্য দ্রব্য হারাইয়াছে।” বরুণ। অমুল্য দ্রব্য অর্থাৎ চারি কড়া আন্দাজ মূল্যের একটি গুলি । ওলিখোরেরা সৰ্ব্বস্ব দিতে পারে ; কিন্তু প্রাণ ধ’রে একটি ছিটা কাহাকেও দিতে পারে না । নারা । ছিটা তৈয়ার করে কেমন ক’রে ? বরুণ। পেয়ারা পাতা কুঁচি কুঁচি করিয়া কাটিয়া প্রথমে ভাজন খোলায় ভাজিয় লয়। তৎপরে একটি পাত্রে জল দিয়া আফিং গুলিয়া সেই জল অগ্নির উত্তাপে ফুটিলে ভাজা পেয়ারা-পাতা ফেলিয়া দিয়া বেশ করিয়া নাড়িয়া, মুড়কি-মাখা করে, তৎপরে নামাইয়া সেইগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে পাকাইয়৷ ছিটা প্রস্তুত করে । উপ। রাজী-কাকা । রাজী-কাকা । একটা গুলিখোর গুলি টেনে আধখানা কলা মুখে দিয়ে কোৎ ক’রে গিলে ফেল্পে ॥