চন্দননগর 8 o Go: বরুণ। কলা উহাদের উপাদেয় চাট। গুলির ধূম পেটে প্রবেশ করিলে নেশা হয় ; কিন্তু কৰ্কশ দ্রব্য চিবাইতে হইলে ধুম বাহির হইয়। যাইবার সম্ভাবনা। এজন্য গুলি টানিয়া কলা চটুকাইয়া সেই কল অতি সতর্কতার সহিত মুখে দিয়া গিলিতে পারিলে কলা-সহিত ধুম পেটের মধ্যে প্রবেশ করে। গুলিথোরেরা পাকা কলা এত ভালবাসে যে, ষ্টেশনে যদি কোন যাত্রী কলা লইয়া আসে, ঐ সামান্ত দ্রব্য চাহিলেই পায়, কিন্তু তাহ নাকরিয়া চুরি করিবার চেষ্টা দেখে। চাটনীর অভাবে ইহার সময়ে সময়ে শোলা জলে ভিজাইয়া চুধিয়া থাকে। গুলিথোরের অনেকগুলি চিহ্ন আছে। যথা—প্রায়ই চক্ষু বুজাইয়া থাকে,—নেশা ছুটিবার আশঙ্কায় সহজে চক্ষু মেলিয়া চাহিয়া দেখে না । গোলমালে বড় বিরক্ত হয়,—কেহ কথা কহিলে *আস্তে আস্তে” বলিয় তাহাকে নিষেধ করে। যখন ইহারা চলিয়া যায়, পায়ের গোড়ালি উচু হইয়া থাকে। যে রাস্তায় সচরাচর যাতায়াত করে, তাহাতে একটি ঢেলা থাকিতে দেয় না,–পাছে হোচট লাগিয়া নেশা ছুটয়া যায়। যে গৃহে শয়ন করিয়া থাকে, ঐ গৃহের কোন স্থানে ছাতা কিংবা ব্যাগ টাঙ্গাইয়া রাখিতে দেয় না,–পাছে লাফিয়ে এসে ঘাড়ে পড়ে। দুগ্ধে এত লোভ হয় যে, শিশু সন্তানকে রাত্ৰিতে খাওয়াইবার দুগ্ধ ঢাকা থাকিলে চুরি করিয়া খাইয়া থাকে। গুলিথোর গুলি টানিয়া যে রাস্ত দিয়া বাটী আইসে, ঐ রাস্তার দুই পাশ্বে দড়া পাকাইবার ভঙ্গিতে যদি দুই জন দাড়াইয়া থাকা যায়, প্রাণাস্তে সোজা হইয়া আসিবে না,-পাছে দড়ি গলায় লাগিয়া মারা পড়ে, এই শঙ্কায় হেঁট হইয়া আইসে। ইহাদের নজর অতি ক্ষুদ্র হয় । গুলিথোরেরা মাতালকে বড় ভয় করে। মাতাল দেখিলে সে রাস্তায় প্রাণান্তেও অগ্রসর হয় না। এই চন্দননগরে গুলি- , থোরের সংখ্যা বড় বেশী। এখান হইতে দেবগণ এক স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন-কতকগুলি লোক আপনার কান আপনি মলিতেছে। কেহ বা সাত বার
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।