8 e & দেবগণের মর্ত্যে আগমন উঠা-বসা করিতেছে, কাহারও বা কান ধরিয়া ঘোড়দৌড় করান হইতেছে। - -- ইন্দ্র । বরুণ! এখানে কি হইতেছে ? *বরুণ। পণ্ডিতের কাছে দোষীদিগের বিচার হইতেছে। ফরাসডাঙ্গায় ফরাসীদিগের একজন দুই শত টাকা বেতনের বিচারক আছেন, তাহাকে পণ্ডিত কহে । উহার নিকট সামান্ত সামান্ত দোষের বিচার হইয়া থাকে। ঐ সমস্ত দোষের সাজা নিজের কান নিজে মলা, উঠা-বসা করা এবং কান ধরিয়া ঘোড়-দোঁড় করান। এখান হইতে র্তাহার এক স্থানে উপস্থিত হইলেন। নারায়ণ কহিলেন, *বরুণ ! সম্মুখে ঐ বাড়টি কি ?” বরুণ। ফরাসীদিগের গবর্ণমেণ্ট হাউস। এই গবর্ণমেণ্ট হাউসের দ্বারে একজন মাত্র পাহারা আছে। এখানকার গবর্ণর পণ্ডিচারীর গবর্ণরের অধীন। এখানকার গবর্ণর পাঁচ শত টাকা বেতন পাইয়া থাকেন। এখানকার মধ্যে যাহার. বড় সাহেব, তাহাদিগের প্রাসাদের দ্বারে কেরোলিন তৈলের আলো জলে । - - এই সময়ে দেবগণ দেখিলেন “জয় রাধাকৃষ্ণ” বলিয়া এক দল বৈষ্ণব রাস্ত দিয়া চলিয়া যাইল। পিতামহ তদৃষ্টে কহিলেন “বরুণ ! এত, বৃন্দাবন নয়, এখানে এত রাধাকৃষ্ণের দল কেন?” : * - বরুণ।. উহার প্রকৃত বৈষ্ণব নহে। ইংরাজ রাজ্যের ফেরারি আসামীরা গুরুতর অপরাধ করিয়া ধরা পড়িবার ভয়ে এখানে পলাইয়া আসিয়া বৈষ্ণব-বেশে বাস করিয়া থাকে। পিতামহ, ওদিকে দেখুন ফরাসী জেল। সকলে জেলখানার নিকটে উপস্থিত হইলে উপ চীৎকার করিয়া কহিল “কৰ্ত্তা-জেঠা চেয়ে দেখ! মিন্সেগুলোর পেছন দিকে এক এক গাছি লম্বা লম্ব শিকল ঝুলান । শিকলগুলোর মাথায় আবার এক একটা গোল গোল লোহা লাগান। উহারা অতি কষ্টে টানিয়া লইয়া যাইতেছে।” r
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।