8 eb“ দেবগণের মর্ত্যে আগমন সকলে স্নান আহ্নিক সারিয়া বাসায় আসিয়া রন্ধনের উদ্যোগ করিতেছেন, এমন সময় এক গুলিখোর ব্রাহ্মণ আসিয়া কহিল “বাবা ! যদি চাটি খেতে দেও তো খাই ।” পিতামহ স্বভাবতঃ অতিথি-সৎকার করিতে ভাল বালেন ; তিনি ব্রাহ্মণের কথায় সস্তুষ্ট হইয়া মহাসন্তোষ প্রকাশ করিতে লাগিলেন। ব্রাহ্মণ কহিল, “একটু তৈল দেন; স্নান করিয়া আসি।” নারায়ণ তৎশ্রবণে তাহার সম্মুখে তেলের বাট প্রদান করিলে ব্রাহ্মণ চক্ষু মুদ্রিত করিয়া কহিল “হাতে দেও বাবা ” নারায়ণ তৎশ্রবণে তৈল প্রদান করিলে ব্রাহ্মণ তৈল মাখিয়া স্নান করিতে যাইল । নারা। বরুণ! ব্রাহ্মণকে তৈল দিতে “হাতে দেও বাবা”—কহিল কেন ? বরুণ। চক্ষু খুলিয়া তৈল মাখিলে পাছে নেশা ছুটিয়া যায়, এই জন্তই হস্তে তৈল চাহিয়াছে। আহরীয় দ্রব্যাদি প্রস্তুত হইল, কিন্তু ব্ৰাহ্মণ আর ফিরিল না। পিতামহ অতিথির জন্য অপেক্ষা করিয়া শেষে দেবগণের উপরোধে তাহার অন্ন ব্যঞ্জনাদি রাখিয়া আহারে- বসিলেন । আহার সমাপ্ত হইলে কিঞ্চিৎ বিশ্রামের পর পুনরায় নগর ভ্রমণে বহির্গত হইলেন। এক স্থানে উপস্থিত হইয়া নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ। সম্মুখে এ সুন্দর বাড়ীটি কাহার ?” বরুণ। কুর্জং সাহেব নামক একজন ইংরাজ জমীদারের। ইহার বিলক্ষণ সঙ্গতি আছে। এখান হইতে সকলে নদীর তীরে যাইলে বরুণ কহিলেন, “পিতামহ । সম্মুখে ইটালি-দেশীয় মিশনরিগণের চর্চ দেখুন।” চর্চ দেখিয়া সকলে নদীর ঘাটের প্রতি চাহিয়া দেখেন—তাহাদের গুলিখোর অতিথি বসিয়া আছে। ব্ৰহ্মা। বরুণ দেখ—চুপ করে বসে আছে, এ পর্য্যন্ত জলে নামে নাই। বরুণ। গুলিখোরের জলকে বাঘের স্তায় দেখে, তাই কিরূপে জলে নামিবে—বলিয়া ভাবিতেছে।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।