চন্দননগর 8X > চরিত্র বড় মন্দ ছিল । তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ গৃহে থাকিয়া উপপতি করেন । ইনি বাটার পুরাতন খানসামাকে লইয়া বাহির হইয়া যান এবং খানসামার বাটীতে তাহার স্ত্রীর সপত্নীর দ্যায় বাস করিতে থাকেন । ক্রমে তথায় ইহঁার এক পুত্র ও দুই কষ্ট হয়। খানসাম কৌশলক্রমে টাকা ও গহনাগুলি লইয়া এক্ষণে বাট হইতে বিদায় করিয়া দিয়াছে । আপাততঃ ঘেমুড়ে উপপতি করিয়া জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতেছে। ব্ৰহ্ম । আরে ছি! ছি:! খ্ৰীবিষ্ণু বরুণ, আমাকে কোথায় এনেছিল ? উপ। বরুণ কাক ! কি হইয়াছিল আর একবার বল না ? ষ্টেশনে যাইয়া সকলে দেখেন—টিকিট দিবার বিলম্ব আছে। তখন পিতামহ কহিলেন, “বরুণ । চন্দননগরের অপরাপর বিষয় সংক্ষেপে বল ।” বরুণ । এই নগরটাতে অনু্যন একলক্ষ চবিবশ হাজার লোকের বাস। গবর্ণমেণ্টের বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকা। এই আয়, ভূমির কর দ্বারা হইয়া থাকে। এখানকার প্রজাদিগকে ভূমির কর ব্যতীত অপর কোন কর দিতে হয় না । কেবল কাৰ্য্যক্ষম ব্যক্তিদিগকে মাসিক আট আনার হিসাবে কর দিতে হয়। ঐ কর দ্বারা প্রতি বৎসর চোঁদ পনর হাজার টাকা আদায় হইয়া থাকে এবং তাহাতে মিউনিসিপ্যালিটীর কার্য্য নিৰ্ব্বাহ হয়। এখানকার জমীর খাজনা অতি সামান্ত, শত বৎসর পূৰ্ব্বে যাহা ছিল, এক্ষণেও তাহাই আছে । জমীর মধ্যে অনেক লাখরাজ । চন্দননগরে ফরাসীদিগের একজন গভর্ণর ভিন্ন একজন কালেক্টর ও একজন সবজজ আছেন । ইহঁাদের বেতন অতি সামান্ত । রাস্তায় ঘাটে ফরাসী ভাষায় লিখিত সাইনবোর্ড টাঙ্গান আছে । আদালতেও ফরাসীভাষা প্রচলিত। রজনীতে এখানকার রাস্ত কেরোসিন তৈলের লন্ঠনের দ্বারা আলোকিত করা হয় । এ নগরে মুসলমান প্রায় নাই । অধিবাসীরা সাধারণতঃ অলস ও আমোদপ্রিয়। গুলির আড্ডা বিস্তর আছে। এখানে শিক্ষিত ভদ্রলোকের সংখ্যাও বিস্তর । ১৭৪০ অব্দে এখানে প্রায় চারি
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।