পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8১২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন হাজার ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গৃহ ছিল। সেই সময় কলিকাতায় কুটার মাত্র দেখা যাইত। ফরাসী গবর্ণর ডিউপ্লে ইহার যাহা কিছু উন্নতি করিয়াছিলেন ; ; র্তাহার পর আর কোন উন্নতি লক্ষিত হয় না। ঐ ডিউপ্লের ইচ্ছা ছিল যে তিনি ভারতে নেপোলিয়নের দ্যায় কীৰ্ত্তি সংস্থাপন করিবেন। এক্ষণে ইহাতে যাহা কিছু আছে, পূর্বের সহিত তুলনা করিলে তাহা কিছুই নয়। ১৭০৪ অঝে ইংরাজেরা এই নগর অধিকার করিয়া পুনরায় ফরাসীদিগকে প্রত্যৰ্পণ করেন এবং ১৭৫৭ অব্দে এডমিরেল ওয়াটুসন সাহেব আর একবার এই নগর আক্রমণ করিয়াছিলেন। চন্দননগর হইতে গোদলপাড়া নামক একটা স্থানে যাওয়া যায়। ঐ স্থানের কুকুরে-কামড়ােনর ঔষধ বড় বিখ্যাত। তৎপরে তেলিনীপাড়া নামক একটী স্থান আছে। তেলিনীপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের বিখ্যাত ধনী জমীদার। ঐ বাবুদের একটা দেবালয় আছে,—সেখানে অন্নপূর্ণ মুক্তি বিরাজ করিতেছেন। দেবালয়ে । প্রত্যহ শত শত অতিথির সেবা হইয়া থাকে । এই সময় দেবগণ দেখেন—দুট বাবুগল্প করিতে করিতে আসিতেছেন । একজন কহিতেছেন “মহাশয় বড় বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছেন " অপর কহিতেছেন “আজ্ঞে হ্যা, আমার লোকের কাছে মুখ দেখাইতেও লজ্জ করে, আবার না দেখালেও চলে না ।” ব্ৰহ্মা। বরুণ ! বাবুটার কি হইয়াছে ? বরুণ। হয়েছে কি জানেন—ঐ বাবুরা তিন ভ্রাতা । অপর ভ্রাতৃদ্বয় নাবালক, উহঁরই অন্নে প্রতিপালিত হইতেছে । বাবুর এক সময় বেশ ভাল চাকুরী ছিল ; সেই সময় যথেষ্ট টাকা উপার্জন করিয়াছেন এবং ভ্রাতাদিগকে ফাকি দিবার অভিপ্রায়ে সমস্ত টাকায় স্ত্রীর নামে বিষয় খরিদ করিয়া রাখিয়াছেন। এক্ষণে বাবুর কৰ্ম্মট নাই—বেকার বসিয়া আছেন। বাবুর স্ত্রীর পূর্ব হইতেই একটু চরিত্র-দোষ ছিল। সম্প্রতি সে উপপতির পরামর্শে বাবুকে বাট হইতে বাহির করিয়া দিয়াছে। এক্ষণে