চন্দননগর 8° එ বাবু কিরূপে স্ত্রীধনে দখল পান, তজ্জন্ত কলিকাতায় উকীলদের সহিত পরামর্শ করিতে চলিলেন ।” এই কথা শ্রবণে বৃদ্ধ পিতামহ আর হাসিয়া বাচেন না। নারায়ণ কহিলেন, “মাগী উচিত বিচার করিয়াছে।” এই সময় “টিটিং ল্যাটাং—টিটি,ংল্যাটাং” শব্দে টিকিট দিবার ঘণ্টা দিতে লাগিল। দেবগণ বৈষ্কবাটার টিকিট লইয়া ট্রেণে উঠিলেন। ট্ৰেণ হুপান্থপূ শব্দে দৌড়িতে আরম্ভ করিল। যে গাড়ীতে তাহারা বসিলেন, সেই গাড়ীতে একটা বাবুও বসিয়াছিলেন। ইহঁাকে দেখিলে বোধ হয় বিলক্ষণ সঙ্গতিপন্ন লোক হইবেন। বাবুট একে সুন্দর পুরুষ, তাহাতে যৌবনকাল । বিশেষতঃ নানারূপ পরিচ্ছদ পরিধান করায় আরও সুন্দর দেখাইতেছিল। তাহার মস্তকে সোজা সিতি, হস্তে তিন চারিট অঙ্গুরীয় এবং বক্ষঃস্থলে চেন সহিত ঘড়ি শোভা পাইতেছে। বাবুট রেলিং ঠেস দিয়া অপর কামরার একযুবতীর প্রতি চাহিয়৷ হাসিতেছিলেন। যুবতীর নিকটে তাহার স্বামী অকাতরে নিদ্রা যাইতেছিল। ইহারও বিষয়বৈভব এক সময় কম ছিল না ; কিন্তু এক্ষণে মদে ও বেষ্ঠায় প্রায় সমস্তই গিয়াছে। বাবুট দেখিতে অতি কদাকার। স্ত্রী স্বাধীনতা ইনি বড় ভাল বাসেন, এজন্ত স্ত্রীকে সঙ্গে লইয়। পশ্চিম ভ্রমণে গিয়াছিলেন। বাবু এক্ষণে অকাতরে নিদ্রা যাইতেছেন, র্তাহার স্ত্রী স্বাধীনতা-প্রভাবে অপর পুরুষের সহিত গল্প করিতেছেন। বাবু । আমি ভাই এইবার নামিব। স্ত্রী। আহা ! বেশ দুজনে গল্প করিতে করিতে যাচ্ছিলাম। তুমি নেমে গেলে কি ক’রে থাকৃবো ? বাবু। যদি না থাকুতে পার—আমার সঙ্গে চল না কেন ? স্ত্রী। . তুমি যদি নিয়ে যাও, যাইতে প্রস্তুত আছি ; কিন্তু কি রকমে যাই ?
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।