বৈদ্যবাটী 8›ፃ এই সময় কতকগুলি স্ত্রীলোক দলবদ্ধ হইয় গঙ্গাস্নানে আসিল । তাহারা দূরদেশ হইতে আসিতেছে বলিয়া সঙ্গে চাল চিড়ে বাধিয়া আনিয়াছিল উহাদের মধ্যে একটা স্ত্রীলোক কহিল “আহা ! তাড়াতাড়িতে রমেশ্বরকে কাচকলাগুলো বৈষ্ঠবাটতে এনে বেচে যেতে ব’লে আসতে ভুলে এলাম। বডেড পেকেছে—আজ ঘরে থাকৃলেই পচে যাবে।” এক রমণী কহিল, “পাকা কাচকলা কি বিক্ৰী হ’তো ?” প্রথম কহিল আহা দিদি ! প’ড়তে পেতো না । সাহেবের পেলে, খেয়ে বাচত ” ব্ৰহ্মা। বরুণ, এ সব স্ত্রীলোক কোথায় যাচ্চে ? বরুণ । গঙ্গাস্নানে । “চল, আমরাও অগ্ৰে গঙ্গাস্নান করিয়া আসি । বলিয়া পিতামহ দেবগণ সমভিব্যাহারে গঙ্গাস্নান করিতে চলিলেন। ঘাটে উপস্থিত হইয়। দেখেন—অসংখ্য লোক জলে স্নান করিতেছে । তীরে অনেকগুলি মহজনী নেীক লাগান রহিয়াছে। মুটের মাথায় করিয়া বস্ত উঠাইতেছে । কোন নৌকা উপুড় করিয়া ফেলিয়া দুপ দাপ শব্দে মেরামত করা হইতেছে ঘাটের এক পাশ্বে একখানি শুটকী মাছের নৌকা লাগিয়াছে, তাহারপার্থে একখানি চামড়া-বোঝাই নৌকা। উভয় নৌকার দুর্গন্ধে তিষ্ঠান ভার। অসংখ্য নৌকা পাইল তুলিয়া কলিকাতা অভিমুখে যাইতেছে। পাইলে বেশ বাতাস পাওয়ায় দড়ির কড়কড় শবদ হইতেছে । মাঝি হ’ল ধরিয়৷ মনের আনন্দে গান ধরিয়াছে ৪— মা বাহের ওপর তুমি খাড়াইয়ে কি কর । তীর দিয়ে ধরচে ঠেসে, সাপ দিয়ে কেমড়ায়ে সারো ॥ পক্ষীর উপর জুহা পায়, বাবুর মতন দেহ যায়, তার পাশে ঐ ধবলা ছড়ি, রাখুতি পার কি না পার। তার পাশে ঐ আঙ ছোড়া বোধ হয় যেন ঝি বেী চোরা'; তার পাশে হলদি চুড়ি—
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।