৪১৮ দেবগণের মর্ত্যে আগমন ইজ। বরুণ! ঐ নৌকা খানায় কি গান গাইতে গাইতে গেল ? বরুণ। স্বৰ্গ-প্রতিমা বর্ণন হচ্চে। পিতামহ ভাগীরথীর সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া কাদির ফেলিলেন এবং কহিলেন “বরুণ । এখানেও কি মা নাই ?” বরুণ । আজ্ঞে না । ব্ৰহ্মা । তুমি গোপন ক’রে না, সত্য বল, মা ত আমার বেঁচে स्वांघ्नि ? বরুণ। আজ্ঞে, দেবতাদিগের কি মৃত্যু আছে ? এক্ষণে আপনি এই নিমাইতীর্থের ঘাটে স্নান করুন, মহাপুণ্য সঞ্চয় হইবে। ব্ৰহ্মা। নিমাইতীর্থের ঘাট কি ? বরুণ। এই ঘাটে চৈতন্তদেব তীর্থপৰ্য্যটন-সময়ে স্নান করিয়া বিশ্রাম করেন। তজ্জন্তু ইহার নাম নিমাইতীর্থের ঘাট হইয়াছে। দেবগণ স্নান আহ্নিক করিয়া উপরে উঠতেছেন, এমন সময়ে দেখেন —একটি বাবুর সহিত একটী ইতরজাতীয় স্ত্রীলোক যাইতেছে। বাবু কহিতেছেন “তোমাকে খুসি ক’রে বিদায় ক’বৃব,কিন্তু যেন প্রস্থতির কোন কষ্ট না হয়।” স্ত্রীলোকটী কহিতেছে, “কোন কষ্ট হবে না। আমি ঐ কাজ করিতে করিতে পেকে গেলাম। কিন্তু বাবু, তোমার বাড়াতে আমার যত দিন দেরী হবে, তত দিনের টাকা ধ’রে নেবে। কলকাতায় ও দেশে আমার নামডাক আছে—তাই প্রত্যহ বিস্তর টাকা রোজগার করি।” ইন্দ্র । বরুণ ! উহার কারা এবং কি বলে ? বরুণ। ঐ স্ত্রীলোকটি দাই। উহার কাজ—ঔষধ দ্বারা ভ্রুণহত্য। করা। ঐ বাবুর বিধবা ভগ্নী অন্তঃসত্ত্ব। তাই দাই নিয়ে যাওয়া হচ্চে । ব্ৰহ্মা। ঐবিষ্ণু। র্যা ! ভ্রুণহত্য করবার জন্ত ? মাগী ব’ল্লে— আমি বাড়ী বসে বিস্তর টাকা উপার্জন করি। বরুণ। তবে ত বাঙ্গালায় অণহত্যার স্রোত বিলক্ষণ প্রবল। তবে সত্তরেই এই পাপে বঙ্গ ডুবিবে! }
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।