পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հ o দেবগণের মর্ত্যে আগমন লাগিলেন। বরুণ কহিলেন, “এই বৈদ্যবাটার সন্নিকটে সেওড়াফুলি নামক একটী স্থান আছে। ঐ স্থানে শনি ও মঙ্গলবারে হাট বসে । হাটে দেশের যাবতীয় আলু এবং আম্রের আমদানী হয়। সেওড়াফুলিতে নিস্তারিণী নামে এক কালীমূৰ্ত্তি আছেন। উহার রীতিমত সেবা ও অতিথিসেবা হইয়। থাকে। ঐ দেবীমূৰ্ত্তি সেওড়াফুলির দশ-আনি মহাশয়দিগের প্রতিষ্ঠিত।” ব্রহ্ম। লেওড়াফুলির জমীদারদিগের বিষয় বল ? বরুণ । সেওড়াফুলির রায় মহাশয়দের বংশকে অনেকে সেওড়াফুলির রাজাও বলিয়া থাকে। ইহঁরা জাতিতে কায়স্থ । এই বংশের রাজচন্দ্র রায় প্রথমে নবাব সরকার হইতে রায় মহাশয় উপাধি প্রাপ্ত হন। রাজচন্দ্র রায় মহাশয়ই পৈতৃক বিষয় যথেষ্ট বৃদ্ধি করেন এবং অনেক ব্রাহ্মণকে জমি জমা দান করিয়া নিজগ্রামে বাস করান। রাজচন্দ্র রায় মহাশয়ের পুত্রের নাম হরিশ্চন্দ্র রায় মহাশয় । ইনি গ্রামে দেবালয় ও দেবমন্দির স্থাপন, পুষ্করিণী খনন প্রভৃতি অনেক সৎকাৰ্য্য করেন । ইহার দুই পুত্ৰ—যোগেন্দ্রচন্দ্র ও পূর্ণচন্দ্র। প্রথমের এক পুত্র—নাম গিরীন্দ্রচন্দ্র ৷ পূৰ্ণচন্দ্র রায় মহাশয় ও গিরীন্দ্রচন্দ্র রায় মহাশয় দিগের যথেষ্ট বিষয় আছে। ইহঁাদিগকে অনেকেই রাজা বলিয়া থাকে । ইহাদিগের রাজার দ্যায় সাধারণ কার্য্যে দান অনেক আছে । ইহঁারা অতিথি সেবা, দেবালয় স্থাপন, পুষ্করিণী * খনন প্রভৃতি বিস্তর সৎকাৰ্য্য করিয়া থাকেন। ইন্দ্র। বরুণ, এ সব মজুর আসছে কোথা থেকে ? বরুণ । ইহার চাপদানী নামক স্থানের চটের কলে কাজ করে। ঐ কলটা অনেকগুলি দেশীয় দুঃখী লোককে প্রতিপালন করিতেছে। পূৰ্ব্বে ঐ চাপদানীর জঙ্গলে বড় বোম্বেটের ভয় ছিল । এই বৈদ্যবাটীর অনতিদূরে আর একটা স্থান আছে, তাহার নাম গরিটা। গরিট ফরাসীদিগের একটী বাগান এ চন্দননগরের গবর্ণরের হাউস থাকার জন্য বিখ্যাত। এক সময়ে ঐ স্থানের বড় সমারোহ ছিল। তখন কলিকাতা