তারকেশ্বর দেবগণ দেখেন—সেদিন কি একটা পৰ্ব্ব থাকায় গ্রামে লোকে লোকারণ্য ; নানাপ্রকার খাদ্যদ্রব্যের ও অপরাপর দ্রব্যের দোকান বসিয়াছে । যাত্রীদিগের মধ্যে কাহারও কোলে ট্যা ট্য। শব্দে ছেলে কঁাদিতেছে । কাহারও পায়ের মল খোয়া গিয়াছে। কাহারও অঞ্চল হইতে কে পয়সা খুলিয়া লইয়াছে। অসংখ্য দোকানে অসংখ্য যাত্রী বলিয়া—কেহ জল খাইতেছে, কেহ বিশ্রাম করিতেছে, কেহ চুড়ি পরিতেছে। নিকটে দেব মন্দির দৃষ্ট হইতেছে। ভিক্ষুকের খঞ্জনীর তালে গান ধরিয়াছে— বন্দিনে বনের মধ্যে ক্ষেপা পশুপতি । চারিদিকে জলা জঙ্গল খাগড়ার বসতি ॥ মধ্যেতে সিংহল দ্বীপ অতি মনোহর । তার মধ্যে বিরাজ করেন বাবা তারকেশ্বর। কপিলী গাই দিত দুগ্ধ একচিত্ত হয়ে। দেখিলেন মুকুন্দ ঘোষ কাননে আসিয়ে ॥ কপিলার ছন্ধে তুষ্ট ভোলা মহেশ্বর। মুকুনা ঘোষেরে বলেন আমি তারকেশ্বর ॥ তারকেশ্বরের শিব আমি কাননেতে বসি । মোর সেবা কর বাপা হইয়া সন্ন্যাসী ॥—ইত্যাদি। দেবগণ একটা দোকানে বাসা লইলেন। পিতামহ কহিলেন, “বরুণ ! তারকেশ্বরের বিষয় বল ।” - বরুণ । যে স্থানে তারকেশ্বরের মন্দির, ঐ স্থানকে পুৰ্ব্বে সিংহলদ্বীপ কহিত । ইনি ঐ স্থানের জঙ্গলের মধ্যে প্রস্তরের আকারে পড়িয়া ছিলেন । রাখালেরা ঐ প্রস্তরকে সামান্ত প্রস্তরবোধে তদুপরি ফলমূলাদি ছেচিয়৷ খাইত। এই কারণে তারকেশ্বরের মস্তকে অদ্যাপি একটা গহবর দেখিতে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।