তারকেশ্বর 8ఇషా মহাস্তকে রাখা হইয়াছে। মহাস্ত হইতে হইলে সংসারধৰ্ম্ম এবং পিত মাতাকে পরিত্যাগ করিয়া আসিতে হয় ।” উপ। বরুণ-কাকা । আমার মহাস্ত হ’লে হয় না ? নারা। দূর হতভাগা ছেলে ! তোর বাপ মা বেঁচে থাকৃ, তুই কি দুঃখে মহাস্ত হবি ? এই সময় পাহারাওয়াল চীৎকার করিয়া কহিল, “যাত্ৰিগণ বাহিরে যাও,-মহান্ত মহারাজের পূজা আসিতেছে, তোমাদের আর ভিতরে থাকিবার হুকুম নাই ।” ইন্দ্র। বরুণ ! মহাস্তের পূজার সময় অন্ত লোককে থাকিতে দেয় না কেন ? বরুণ। মহান্ত লোকের নিকট এই ভাব প্রকাশ করেন যে, ঐ সময় তাহার শিবের সহিত কথা হয় । তিনি শিবকে বিষয়াদি সম্বন্ধে অনেক পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিয়া প্লন । তদ্ভিন্ন শিবকে “এ থাও, ও খাও” বলিয়া হাতে পেপে ক্ষীর প্রভৃতি তুলিয়৷ তুলিয়া দেন। তিনি “আর খেতে পারিনে” ব’ল্লেও ছাড়েন না । দেবগণ এই কথা শ্রবণে হাস্ত করিতে করিতে বাহিরে আসিলেন। ওদিকে শঙ্খ ঘণ্টা বাজাইয়া মহান্তের পূজা আরম্ভ হইল। পূজা সমাপ্ত হইলে মহাস্ত শিবিকারোহণে, অগ্রে পশ্চাতে পাহারায়, দেবালয় হইতে বাহির হইয়া রাজপ্রাসাদাভিমুখে চলিলেন । ইন্দ্র । তারকেশ্বর চা’ল কলা থেয়ে মরেন, সুখ দেখছি মহাস্তের। বরুণ। সুখ ব’লে মুখ ! শিবগঙ্গার দক্ষিণ পশ্চিম কোণে যে একটা সুন্দর অট্টালিকা দেখিয়াছ, তাহাতেই মহান্ত বাস করেন। ইহঁfর এত সুখ যে, রূপার থাটে শয়ন করেন, সোণার থালে ভাত খান। গৃহে কত সোণা ও রূপ। বান্ধান হক এবং ফর্সী আছে। বাবুর গৃহে টানা-পাখ টাঙ্গান এবং নিজেই সৰু ক’রে দেওয়ালে বিত্র আয়ন টাঙ্গাইয়। রাখিয়াছেন।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।