পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89e দেবগণের মর্ত্যে আগমন ব্ৰহ্মা। তারকেশ্বরের সেবা কিরূপ হয় ? বরুণ। বেলা একটা দেড়টার সময় ইহঁার মনুই-ভোগ অর্থাৎ পায়ল রাধিয়া ভোগ দেওয়া হয়। বেলা দুইটা আড়াইটার সময় শৃঙ্গার-বেশ হয় অর্থাৎ শিবকে পুষ্পাদি দ্বার সুশোভিত করিয়া যাত্রীদিগকে দেখান হয়। রজনীতে শিব লুচি ও মিষ্টান্ন প্রভৃতি আহার করেন। আহারের পর একটা ধুন্ধচী আকারের কল্কীতে অৰ্দ্ধপোয়া আন্দাজ গাজা সাজিয়া তাহাতে তালের জটার আগুন দিয়া গুড়গুড়িতে বসাইয়া শিবকে ধূমপান করিতে দেওয়া হয়। ঐ সময়ে কোন যাত্রীর মন্দিরমধ্যে প্রবেশ করিবার অনুমতি নাই। তবে বাহিরে দাড়াইয়া গুড়গুড়ির শব্দ শুনিবার আধিকার আছে। তদ্ভিন্ন কিছু সময়ের পর , কন্ধেট বাহিরে আনিয়া উপুড় করিয়া ঢালিয়৷ দেখান হয় যে, শিব সমস্ত গাজী খেয়ে গুল ক’রে ছেড়ে দিয়েছেন। ব্ৰহ্মা । নারায়ণ ! দেখ—কে বলে কলিতে দেবতা নাই ? দেবগণের নিকটে একজন কলু দাড়াইয়া ছিল, দেবগণকে জিজ্ঞাসা করিল, “মহাশয়েরা এখানে কি করিতে আসিয়াছেন ?” নারী । এই ছেলেটার একটা ফোড় হওয়ায় তারকেশ্বরের পূজা মান ছিল, সেই পূজা দিতে আসিয়াছি! কলু। আপনার এত কষ্ট ক’রে না এসে মহাস্তের ঘানির এক ছটাক আন্দাজ তেল কিনে ঐ স্থানে দিলেই ভাল হ’য়ে যেত । ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এ কি বলে ? মহাস্তের ঘানি আছে না কি ? বরুণ। আজ্ঞে না, মহাস্তকে চরিত্র-দোষের জন্ত ঘানিকলে জুতে তৈল বাহির করিয়া লওয়া হইয়াছিল, তাহাতেই ও এ কথা বলিতেছে। " ব্ৰহ্মা । মহান্ত হিন্দুদেবমন্দিরের একজন অধ্যক্ষ । তাহার চরিত্র-দোষ ? বরুণ । আঞ্জে, মহাস্তই এ প্রদেশের রাজা । সম্পত্তি যথেষ্ট আছে। মহান্ত মাধবগিরি অল্প বয়সে গদি ও অতুল ঐশ্বৰ্য্য হাতে