পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারকেশ্বর 8&X পাওয়াতেই দিকু-বিদিকু-জ্ঞান শূন্ত হইয়া ঐ রোগাক্রান্ত হন। বিশেষতঃ, উচ্চবংশীয়েরাও বিষয় পাইলে অর্থের সদ্ব্যবহার করিতে পারেন না । কিন্তু যাহাদের অল্প-বস্ত্রের সংস্থান নাই, এমন সব ফকীরই প্রায় মহাস্ত হইয়। থাকে। অতএব তাহারা অর্থের সদ্ব্যবহার কিরূপে জানিবে ? কয়েক বৎসর হইল, মহান্ত ও এলোকেশীর যে অভিনয় হয়, তাহ চিরকাল বঙ্গবাসীদিগের চিত্তপটে অঙ্কিত থাকিবে এবং সহজে আর কোন ভদ্রলোক পরিবারকে তীর্থস্থলে পাঠাইবেন না । ব্ৰহ্মা। মহান্ত ও এলোকেশীর অভিনয় আমাকে শ্রবণ করাও । বরুণ। এই তারকেশ্বরের সন্নিকটে কুমরুল নামক একটা পল্লিগ্রাম আছে । ঐ গ্রামে নীলকমল মুখোপাধ্যায় নামক এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ বাস করিত। নীলকমলের প্রথম স্ত্রীর গর্ভজাত জ্যেষ্ঠ কন্যার নাম এলোকেশী । এলোকেশীর নবীন নামক এক যুবার সহিত বিবাহ হয়। নীবনের আত্মীয় স্বজন কেহ না থাকায় –স্ত্রীকে তাহার পিত্রালয়ে রাখিত এবং মাস মাস খরচ পাঠাইত। নীলকমলের প্রথমা স্ত্রী গত হইলে দ্বিতীয় পক্ষে যে স্ত্রীর পাণিগ্রহণ করে, সেই স্ত্রীর সহিত মহাস্তের বিশেষ ভালবাসা ছিল। মহান্ত একদিন যুবতী এলোকেশীকে চক্ষে দেখিয়া উন্মত্ত হয় এবং তাহার বিমাতাকে প্রলোভনে বশ করিয়া দূতীর কাজ করিতে বলে। ঐ বিমাতা নিজ পতি নীলকমলকে ‘রাজার শ্বশুর হবে, মহান্ত বিষয় করিয়া দেবে’ ইত্যাদি প্রলোভনবাক্যে বশীভূত করিয়া মেয়েটকে মহাস্তের করে সমর্পণ করিবার পরামর্শ দেয় এবং স্ত্রীপুরুষের পরামর্শ স্থির হইলে, মাগী মেয়েকে তারকেশ্বরে ছেলে হইবার ঔবধ খাওয়াইতে লইয়া যায়। মহাস্ত প্রথম দিন বালিকা এলোকেশীকে সস্তান হইবার ঔষধ খাওয়ানোর ছলে মাদক দ্রব্য সেবন করাইয়া অচৈতন্ত করিয়া সতীত্ব নষ্ট করে । তৎপরে নানারূপ সোণা রূপার গহনা পাইয়। এলোকেশীর মন মহাস্তের প্রতি অঙ্গুরক্ত হয় । সে সৰ্ব্বক্ষণ মহাজের