পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামপুর ৪৩৭ একপ্রকার যে বিখ্যাত কাগজ ছিল, তাহ। এই কলেই প্রস্তুত হইত। এক্ষণে কাগজের কল উঠিয়া গিয়া পাটের কল হইয়াছে। এখান হইতে যাইয়া সকলে ঐরামপুরের বাজারে উপস্থিত হইয়া । দেখেন—নানা দোকানে নানাপ্রকার দ্রব্যাদি বিক্রয় হইতেছে। কোন দোকানে “রামে রাম” শব্দে কয়ালের চাউল ওজন করিতেছে । কোন দোকানে বেণের চারি কড়ার তুতে, অৰ্দ্ধ পয়সার সুপারি, দশ কড়ার তেজপাত বিক্রয় করিতে করিতে ক্লাস্ত হইতেছে । এক স্থানে বসিয়া মেছনীরা মৎস্ত বিক্রয় করিতেছে। অপর স্থানে তরিতরকারী বিক্রয় হইতেছে। দেখিতে দেখিতে সকলে একট চার্চের নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “এই চাৰ্চটী ১৮০৫ সালে নিৰ্ম্মিত হয়।” এখান হইতে সকলে ভাল ভাল অট্টালিকা দেখিতে দেখিতে চলিলেন এবং গোস্বামীদের বাটীর নিকট দিয়া মৃত গোলোকচন্দ্র রায়ের বাটীর নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন,-“এক ব্যক্তি করযোড়ে দাড়াইয়া করুণস্বরে কহিতেছে, “আপনার স্ত্রীরামপুরের মস্তকস্বরূপ, অতএব আমার প্রতি কৃপা করিয়া জাতিতে তুলিয়া লউন।” তৎশ্রবণে এক ব্যক্তি কহিতেছে,—* তা আমরা কেমন ক’রে পারি ? তুমি যবনের উচ্ছিষ্ট লইয়া সংসার ধৰ্ম্ম করিতেছ। তাহার হাতে খাইয়া ধৰ্ম্মের মাথা খাইতেছ। আমরা কি কারণে তাহার হাতে খাইয়৷ ইহকাল ও পরকাল খোয়াইব ?” নারা। বরুণ! বিষয়টা কি ? বরুণ। ঐ ব্যক্তির স্ত্রী একজন যবনের সহিত বাট হইতে পলায় । বাবুটা অত্যন্ত স্ত্রৈণ বলিয়া কেঁদে কেঁদে অস্থির হন ও শেষে অনেক কষ্টে অনেক অর্থব্যয়ে সেই পলান ধনকে গৃহে আনিয়া ঘরকল্প করিতেছে। সমাজ এই অপরাধে উহাকে সমাজচ্যুত করাতে লোকের বাড়ী বাড়ী করযোড়ে সাহায্য প্রার্থনা করিতেছে ।