পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামপুর 8లిసి স্ত্রীরামপুরের অনতিদূরে চাতর নামক গ্রামে মাতুলালয়ে বাস করিতেন। র্তাহার মাতুলগৃহে গৌরাঙ্গদেবের প্রতিমূৰ্ত্তি ছিল। একদিন রুদ্ররামকে গৌরাঙ্গদেবের পূজা করিতে দেখিয় তাহার মাতুল “তোমার এখনও পুজায় অধিকার হয় নাই” বলিয়া অত্যন্ত তিরস্কার করেন। ইহাতে রুদ্ররামের মনে অত্যন্ত ঘৃণা হয় ও বল্লভপুরের জঙ্গলের মধ্যে যাইয়া তপস্তা আরম্ভ করেন । র্তাহার তপস্তায় সন্তুষ্ট হইয়। রাধাবল্লভ স্বপ্ন দেন, গৌড়ের নবাববাটীর অন্তঃপুরস্থ গৃহদ্বারের উপরে একখানি কৃষ্ণবর্ণ প্রস্তর আছে। প্রস্তরখানি সৰ্ব্বদাই ঘামিয়া থাকে। তুমি ঐ প্রস্তর আনিয়া তোমার উপাস্ত দেবতার মুক্তি সংগঠন করিয়া উপাসনাদি কর-অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে।” রুদ্ররাম স্বপ্ন দেখিয়া গৌড় নগরে প্রস্থান করেন এবং নবাবের মন্ত্রী অত্যন্ত হিন্দু ছিলেন–র্তাহাকে সবিশেষ বলেন। মন্ত্রী “যে পাথর ঘামে সে পাথর বাড়ীতে রাখিলে মহ অমঙ্গল ঘটে”—এই কথা নবাবকে বলায়, নবাব পাথরখানি খসাইয়া জলে ফেলিয়া দিবার অনুমতি দেন। পাথর জলে ফেলিয়া দেওয়ায় রুদ্ররাম পণ্ডিত প্রাপ্ত হইলেন না, অত্যন্ত ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন। দৈববাণী হইল “তুমি মাহেশ যাও, তথাকার স্নানের ঘাটে ঐ পাথর প্রাপ্ত হইবে।” রুদ্ররাম পণ্ডিত তৎশ্রবণে মাহেশে আসিয়া প্রস্তরখানি প্রাপ্ত হইলেন । তিনি সুনিপুণ ভাস্কর ডাকাইয়া রাধাবল্লভ-মূৰ্ত্তি প্রস্তুত করাইলেন। এমন সুন্দর মূৰ্ত্তি এদেশে দ্বিতীয় নাই। ঐ প্রস্তরে তিনটী মূৰ্ত্তি প্রস্তুত হইয়াছিল— বল্লভপুরের রাধাবল্লভ, খড়দহের শু্যামসুন্দর এবং সাইবনের নন্দকুলাল । মুরুসিদাবাদের নবাবের কোন হিন্দু কৰ্ম্মচারী আকন ও মাহেশের মধ্য হইতে কিয়দংশ ভূমি বিচ্ছিন্ন করিয়া লইয়া রাধাবল্লভকে প্রদান করেন এবং ঠাকুরের নাম অনুসারে এই স্থানের নাম বল্লভপুর রাখেন। ঐ সময় ঐ স্থানের বার্ষিক রাজস্ব ১৮ ছিল। ইহার দেড়শত বৎসর পরে রাজা নবকৃষ্ণ গ্রামটকে ভারজাই তালুক করিয়া দেন। ১৫৯৯ সালে কলিকাতার নয়ানচাদ মল্লিক রাধাবল্পভের মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন ; ঐ