পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারাকপুর 883) ইন্দ্র । বাঙ্গালী হ’লে কি সৈনিকের দলে লয় না । বরুণ । না । ব্ৰহ্মা। বরুণ । লওয়া হয় না কেন ? বরুণ। বাঙ্গালী ভীরু ; পাছে বন্দুকের গুলিতে হাত পা ভাঙ্গিয় ফেলে, এই ভয় । দেখুন পিতামহ ! সন্ধ্য আগতপ্রায়, এখানে রাত্রি নয়টার পর ভ্রমণ নিষেধ ; অতএব আমাদের এখান হইতে প্রস্থান করাই উচিত। নারা । এখানে নয়টা রাত্রির পর ভ্রমণ নিষেধ কেন ? বরুণ। পাছে কোন ছদ্মবেশী লোক রজনীতে ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে প্রবেশ করিয়া গোপনে অনুসন্ধান করে, এই জন্তই ঐ নিয়ম করা হইয়াছে । ব্ৰহ্মা। আমাদের এখানে থাকিবার কোন আবশুকতা নাই। চল অন্ত রজনীযোগেই আমরা প্রস্থান করি । বরুণ। এই বারাকপুরের নিকটে মণিরামপুর প্রভৃতি কতকগুলি গওগ্রাম আছে। এই মণিরামপুরে ১৮১০ খৃষ্টাব্দে (সন ১২২৫ সালে ) দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন । ইহঁর পিতা গোলোকচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রধান কুলীনগ্রাহ্মণ ছিলেন। দুর্গাচরণ দশ বৎসর বয়সে কলিকাতায় আসিয়া হিন্দুকলেজে ভৰ্ত্তি হন এবং চারি বৎসরের মধ্যে সিনিয়ার ডিপার্টমেণ্টে অর্থাৎ বিদ্যালয়ের উচ্চতম বিভাগে উখিত হয়েন। পঞ্চদশবর্ষমাত্র বয়ঃক্রমে অসাধারণ ধীশক্তি ও নৈসর্গিক প্রতিভাবলে দুর্গাচরণ প্রভূত মুখ্যাতি ও একটা বৃত্তি প্রাপ্ত হয়েন । এই সময়েই দুর্গাচরণ স্বধৰ্ম্মের প্রতি ব্রীতশ্রদ্ধ হইয়াছিলেন। অর্থের অনটনপ্রযুক্ত কলেজ ছাড়িয়া ইনি প্রথমে লবণের গোলায় চাকরী করেন । ইহঁর বিদ্যোপার্জনের ইচ্ছ। এতদূর বলবতী ছিল যে, লবণের গোলায় চাকরী-কালে একদা তিনি তথাকার দেওয়ান সুপ্রসিদ্ধ দ্বারকানাথ ঠাকুর মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তাহার নিকট নিজ মনোভিলাষ ব্যক্ত করেন। দ্বারকানাথ ঠাকুর