বারাকপুর 88 (r নিম্নলিখিত ঘটনাট ঘটে—“মেসার্স জারডিন স্কিনার এও ং’র আফিসের মুছদি বাৰু নীলকমল বন্দ্যোপাধ্যায় সাংঘাতিক পীড়ায় আক্রান্ত হইলেন ; চিকিৎসকগণ পীড়া সঙ্কটাপন্ন—আরোগ্য হইবার নহে বলেন। অবশেষে দুর্গাচরণকে আনয়ন করা হইল, তিনি ঔষধের ব্যবস্থাপত্ৰ দিয়া প্রস্থান করিলেন। এই সময় জ্যাক্সন সাহেবকে দেখিতে দেওয়া হয় ; ডাক্তার জ্যাক্সন উহা দেখিয়া বলিলেন “ঠিকই হইয়াছে’ এবং ঔষধের গুণে রোগীর বিলক্ষণ উপকার হইয়াছে । তিনি সাতিশয় চমৎকৃত হইলেন এবং দুর্গাচরণের সহিত আলাপ করিয়া উহাকে ”নেটিভ জ্যাকুসল্” উপাধি প্রদান করিলেন। এই ঘটনার পর হইতে দুর্গাচরণের সৌভাগ্যসূর্যা উদয় হইল,—র্তাহার নাম ও যশ চতুৰ্দ্ধিকে ব্যাপ্ত হইল। নীলকমল বাবু সম্পূর্ণরূপে আরোগ্যলাভ করিলে তাহার বন্ধু পণ্ডিতপ্রবর বিদ্যাসাগর মহাশয় ও স্বদেশহিতৈষী বাবু রাজেন্দ্রনাথ দত্ত উভয়েই দুর্গাচরণকে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে মাসক ৮০ টাকা বেতনে খাজাঞ্জির কাৰ্য্য গ্রহণ করিতে এবং প্রাতে ও সন্ধ্যাকালে চিকিৎসা ব্যবসা অবলম্বন করিতে পরামর্শ দিলেন দুর্গাচরণও তাহাদিগের পরামর্শমত কিছুকাল কাৰ্য্য করেন। পরে ৩৪ বৎসর বয়সে তিনি চিকিৎসা ব্যবসায়ের উপরই সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করিলেন। অত্যন্ত্রকালমধ্যেই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসক বলিয়া সৰ্ব্বত্র পরিচিত হইলেন ; তাহার বাট প্রাতে ও বৈকালে সহস্র সহস্ৰ পীড়িত ব্যক্তিদিগের দ্বারা পরিপূর্ণ হইতে লাগিল। অধিক কি তাহার উপর সকলেরই একপ্রকার দৃঢ় ভক্তি ও বিশ্বাস জন্মিল যে, তিনি রোগীর নিকট আসিলেই লোকে মনে করিত, স্বয়ং ধন্বন্তরি আসিয়াছেন— রোগী নিশ্চয়ই আরোগ্যলাভ করিবে। দৃষ্টিমাত্রেই তাহার রোগনির্ণয়ের অলৌকিক ক্ষমতা ও চিকিৎসাশাস্ত্রে অসাধারণ পারদর্শিতা দেখিয়া র্তাহাকে সকলে দেবানুগৃহীত বলিয়া স্বীকার করিত। দশ বৎসরের মধ্যেই তিনি নুনাধিক লক্ষ টাকা উপার্জন করিলেন ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।