পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88や দেবগণের মর্ত্যে আগমন যে সকল দুশ্চিকিৎস্ত ব্যাধি আরোগ্য হইবার নহে বলিয়া কবিরাজ, হাকিম ও অন্তান্থ ডাক্তারগণ রোগীর জীবনের আশা একেবারে পরিত্যাগ করিতেন, দুর্গাচরণ অনেক স্থলে সে সকলও আরাম করিতে সমর্থ হইতেন। কথিত আছে, একদা ভারতবর্ষের কোন গবৰ্ণৱ জেনেরলের সহধৰ্ম্মিণী কোন সঙ্কট রোগে আক্রান্ত হইলে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট ইংরাজ চিকিৎসকগণ র্তাহার চিকিৎসা করেন ; কিন্তু কেন্থই প্রকৃত রোগ নির্ণয় করিতে সমর্থ হয়েন নাই। অবশেষে চিকিৎসার জন্ত দুর্গাচরণকে আনা হইল । তিনি গবর্ণরের প্রাসাদে যাইয়া দেখিলেন, অনেকগুলি ইংরাজ চিকিৎসক ও ভদ্রলোক তথায় সমবেত—সকলেরই বদনে নিরাশার রেখা অঙ্কিত। সকলেই মনে করিলেন যে, রোগ আরোগ্য করা ইংরাজের অসাধ্য। দুর্গাচরণ সেখানে উপস্থিত হইয়া রোগীর রোগবৃত্তান্ত আছোপাত্ত শুনিলেন ও র্তাহাকে ভালরূপে পরীক্ষা করিলেন। পরে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “আপনার কয়েক মুহুর্তের জন্ত অনুগ্রহ করিয়া রোগীকে আমার নিকট রাখিয়া গৃহান্তরে গমন করুন।” সকলেই গৃহ পরিত্যাগ করিলে তিনি অত্যস্তৃত ও আশ্চৰ্য্য কৌশলে সে যাত্র গবর্ণরপত্নীর প্রাণরক্ষা করিলেন । ডাক্তার রাজেন্দ্রনাথ দত্ত কলিকাতায় প্রথম হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথা প্রবৰ্ত্তিত করিলে হোমিওপ্যাথিক ও এলোপ্যাথিক মতাবলম্বীদিগের মধ্যে মহাবিরোধ উপস্থিত হইল । মেডিকেল কলেজে, চিকিৎসাশাস্ত্রের উৎকর্ষ সম্পাদন করিবার জন্ত যে সভার অধিবেশন হয়, ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার সেই সভায় বক্তৃতা দ্বারা হোমিওপ্যাথি, এলোপ্যাথির অপেক্ষা উৎকৃষ্ট প্রমাণ করেন। বঙ্গদেশে যাহাতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রচলিত হয়, তদ্বিষয়ে দুর্গাচরণ ঐকাস্তিক যত্ন পাইয়াছিলেন। বাঙ্গালার বহুদূরবর্তী স্থান হইতে যে সকল লোক তাহার বাটতে চিকিৎসায়ী হইয়া আগমন করিত তিনি তাহাদিগকে খাইতে ও থাকিতে