88b- দেবগণের মর্ত্যে আগমন ছিলি কোথায় ? আমি তোর জন্তে রুট আর ধে গুনভাজা ভেজে এক বোতল মদ এনে সমস্ত রাত্রি বসে বসে কাটিয়েছি” বলিয়া পৃষ্ঠে এক মুষ্ট্যাঘাত করিল এবং হস্ত ধরিয়া বাটীর মধ্যে লক্টর) ঘটিল। ব্রাহ্মণের কার্য্য দেখিয়া পিতামহ আশ্চৰ্য্যাণঃ ইয়া কহিলেন । “ঐবিষ্ণু! কলিকালে লোক চেনা ভার! এত সাজ গোজ, আচার ব্যবহার, আর এদিকে বেগুরি বাড়ীতে রুট বেগুনভাজা মদ খায়!” উপ। কর্তা-জেঠা ! মিন্সে যেন মাথাল ফল । সকলে ষ্টেশনে যাইয়া দেখেন—রজনীতে ষ্টেশনটা বড় সুন্দর শোভা ধারণ করিয়াছে—চারি দিকে আলোক জলিতেছে । এক স্থানে যাত্রীদিগের মাল ঠেঙ্গে গাড়ী বোঝাই করিয়া ঘড়ঘড় শব্দে এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্তে লইয়া যাইতেছে । তখন ট্রেণ আসিবার বিলম্ব থাকাতে দেবগণ এক স্থানে বসিয়া গল্প করিতে লাগিলেন। নারায়ণ বারাকপুরের বাজার হইতে চুরট কিনিয়াছিলেন ; এই সময়ে দেশলাই জালিয়া চুরট ধরাইবার উদ্যোগ করিলে পিতামহ রাগান্বিত হইয়া কহিলেন, “দেখু কৃষ্ণ ! তুই কি মর্ত্যে এসে সাহেব হ’লি ? আমি সব সহ করতে পারি—ও শকুনির গায়ের গন্ধের ন্তায় চুরটের গন্ধ সহ হয় না। গন্ধে আমার গা বমি বমি করে, মাথা ধরে। ফেলে দে—নইলে গালে মুখে চড়াব।” নারায়ণ তৎশ্রবণে চুরট টানা রহিত করিলেন। বরুণ । দেখুন পিতামহ ! এই হীরামপুরেই বাঙ্গালার মিসনরির বাস করিতেন । ইহঁাদের মধ্যে মেজর ক্যারে, ওয়ার্ক, এবং মাস ম্যান সাহেব বিখ্যাত। এই মহাত্মাদিগের এই স্থানেই মৃত্যু হইয়াছে এবং তাহার এই স্থানের কবরে আছেন। ইষ্ঠার হিন্দুসন্তানদিগকে খ্ৰীষ্টান করিবার অভিপ্রায়ে এক সময় ১,০০,০০০ বাইবেল, বিভিন্ন ভাষায় মুদ্রিত করিয়া বিনা মূল্যে বিতরণ করিয়াছিলেন। বাহ ইউক, মিস্নৱিগণের নিকট বঙ্গভাষা বিশেষরূপে ঋণী ; যে হেতু ইহঁদের যত্নে ১৮৭৮ অকে. প্রথম, মুদ্রাযন্ত্র
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।