বারাকপুর 888) সংস্থাপিত হয় ইছারাই প্রথমে মহাভারত ও রামায়ণ গ্রন্থ মুদ্রিত করেন। তদ্ভিন্ন বাঙ্গালা সংবাদপত্রেরও ইহঁার স্বষ্টিকৰ্ত্তা। ১৮১৮ অব্দে মাস ম্যান সাহেবের যত্নে দিগদর্শন” নামক একখানি মাসিকপত্র প্রচারিত হয় । স্ত্রীরামপুরের মিসনরির ঐ অব্দে “সমাচার-দৰ্পণ” নামে বাঙ্গালা ভাষায় প্রথম সংবাদপত্র প্রচার করেন । ইহঁাদেরই যত্নে সীসার অক্ষর সবিশেষ উন্নতি লাভ করিয়াছে। এই শ্রীরামপুরে প্রথমে মনোহর দাস মিসনরিদিগের উপদেশ ক্রমে সীসার অক্ষর প্রস্তুত করেন। তাহার পুত্র কৃষ্ণচন্দ্র দাস উহার বিলক্ষণ উৎকর্ষ সাধন করিয়াছিলেন । কৃষ্ণচন্দ্রের পাজির বাঙ্গালী অক্ষর বাঙ্গালাদেশে বিশেষ খ্যাতিলাভ করিয়াছে । হীরামপুরের অতি নিকটে মাহেশ । মাহেশে রথ ও স্নানযাত্রার সময়ে বড় সমারোহ হইয়া থাকে। কলিকাতার অনেক বাৰু বেশু সঙ্গে লইয়৷ ৰোট ও ভাউলে ভাড়া করিয়া জলে বাচ খেলেন এবং মদ্যপানে মাতোয়ার হইয়া বেস্তার হাত ধরিয়া জগন্নাথের সম্মুখে মৃত্য করেন । মাহেশের জগন্নাথ বড় বিখ্যাত"৷ ইনি এক সময় হাতের বালা বন্ধক রাখিয়া ময়রার দোকানে সন্দেশ খাইয়াছিলেন। ঐ মাহেশে ওয়ারেণ হেষ্টিং সাহেবের একটা বাগান ছিল। বাগানের দুই একটা গাছ অদ্যাপি বর্তমান আছে। মহেশের পরেই টিটেগড় ; টিটেগড়ে পুৰ্ব্বে জাহাজ প্রস্তুত হইত। এই সময় ষ্টেশনে যাত্রীরা আসিয়া উপস্থিত হইতে লাগিল, তাহাদের কাহারও হস্তে পোটল ও হুক কল্কে, কাহারও হাতে ব্যাগ ও ছড়ি । কোন বাবু স্ত্রীকে তাহার পিত্রালয় হইতে লইয়া যাইতেছেন। অতএব স্ত্রীও পেটরাদি সঙ্গে ষ্টেশনে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। কোন স্ত্রীলোক বাবুদের মেয়ের তত্ত্ব লইয়া যাইতেছে, ষ্টেশনে আসিয়া মাথার ধাম৷ নামাইল । মেয়ে অন্তঃসত্ত্ব, এজন্ত মেয়ের মা ঐ ধামাতে কয়েকটি কমললেবু কতকগুলি বিলাতি কুল, চাটি সজুনের ফুল, কুলের আচার, চালিতার এবং আমের আচার পাঠাইয়াছেন। একটা ছাড়িতে কিছু মিষ্টান্নও আছে, રજ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।