86 e দেবগণের মর্ত্যে আগমন ইঞ্জির মুখ এমন শক্ত করে ময়দা দিয়া আঁটা যে, হাড়ি ভাঙ্গিবে, তথাপি মুখ খুলিবে না। কোন বাবু স্বয়ং আসিয়া স্ত্রীকে দ্বিরাগমনে লইয়। বাইতেছেন। বালিকা এক গল ঘোমটা দিয়া ফু পয়ে ফুপয়ে কাদিতেছে। বালিকার বাপের বাড়ীর পরিচারিকা বুঝাইতেছে,—“ও মা ছি! তুই এমন শেয়ানা মেয়ে হয়ে কাদুছিস কেন ? শ্বশুরবাড়ীর লোকে নিন্দে করবে যে ” 喂 ক্রমে টিকিট কিনিবার ঘণ্টা দিল, দেবগণ টিকিট কিনিতে যাইয়। দেখেন, মস্ত ভীড় । ক্ষুদ্র একটা গহবরের নিকট উকি মারিয়া একজন যাত্রী দাড়াইয়া আছে। তাহার উভয় স্কন্ধে প্রায় চৌদ্দটা মাথা ঠেস দিয়t “আমার একখান হাবড়ার, আমার একথান বালির, আমার একখান কোন্নগরের বলিয়া চীৎকার করিতেছে। তৎপশ্চাতে প্রায় ২৫/৩০ জন লোক “আমার একখান রিটর - “আমার একখানা হাপু টিকিটু চাই” বলিয়া ঠেলাঠেলি আরম্ভ করিয়াছে। ভিতর হইতে টিকিট বিক্রেতা বাৰু হস্ত বাহির করিয়া এক এক জনের পয়সা লইতেছেন এবং খটু খটু খটাস খটাস শব্দে টিকিট কাটিয়া যাত্ৰাদিগকে দিতেছেন। যাত্রীদিগের মধ্যে যাহারা পুর টাকা দিয়াছিল, বাহিরে পয়সা গণে কম হওয়ায় আশীৰ্ব্বাদ করিতে করিতে চলিয়া যাইতেছে। ভীড় কমিলে বরুণ যাইয় পাঁচখানি বালির টিকিট কিনিলেন এবং প্রত্যেকে পোটল পুটলি লইয়া প্লাটফরমে যাইয়। এই ভাবে দাড়াইয়া রছিলেন যে, গাড়ী জাসিয়া ফেলিয়া যাইতে না পারে। দেখিতে দেখিতে ট্ৰেণ আসিয়া উপস্থিত হইল, দেবগণও ছুটিয়া গিয়া ট্রেণে উঠিয়া বসিলেন। উঠিয় দেখেন—গাড়ীর প্রত্যেক কামরায় আলো দেওয়াতে রজনীতে গাড়ী যেন নবসাজে সজ্জীভূত হইয়াছে । আরোহিগণ বসিয়া তামাক টানিতেছে এবং নানাপ্রকার গল্প করিতেছে । আবার ট্রেণ ছাড়িল এবং ট্রেণ ছপাছপ শব্দে কোন্নগরে আসিয়া
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।