বালি 86 X উপস্থিত হইল। বরুণ কহিলেন, “কোন্নগরের স্তায় গায় গায় বসতি, কোন স্থানে দৃষ্টিগোচর হয় না।” ট্রেণ আবার ছাড়িল এবং অনতিবিলম্বে দেবগণকে বালি ষ্টেশনে নামাইয়া প্রস্থান করিল। দেবগণ ফটকে টিকিট দিয়া বাহিরে যাইলেন এবং সে রাত্রি একটা দোকানঘরে বাসা লইয়া রাত্রি যাপন করিলেন । বালি অতি প্রত্যুষে উঠিয়া দেবতারা নগর ভ্রমণে চলিলেন । তাহারা সকলে বালির পোলের উপর গিয়া সবিস্ময়ে চাহিতে লাগিলেন । পিতামহ কহিলেন, “বরুণ ! এ ক’রেছে কি—য়া ! এ পোলটা প্রস্তুত করিতে না জানি কত টাকাই ব্যয় হইয়াছে।” বরুণ। আজ্ঞে, ইহার নাম বালির পোল । পূৰ্ব্বে এখানে একটা পোল থাকে, প্রায় দুই হাজর স্তম্ভের উপর ছিল । উহা নিৰ্ম্মাণ করিতে অনুনি ৬৪০০০ টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু ইংরাজ বাহাদুরের সৈন্তগণ ও কামান প্রভৃতির গমনাগমনের জন্ত উহাকে ভাঙ্গিয়া পুনরায় লৌহস্তম্ভ প্রোথিত করিয়া এই দৃঢ়কায় সেতু নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে। এই সেতু বরূণু এণ্ড কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার মিঃ হকেডে এবং ওভবৃসিয়ার বাবু নবীনচন্দ্র রায়ের অধ্যবসায় ও যত্নে আট মাসের মধ্যে অতি সুচারুরূপে প্রস্তুত হয় । পোলট করিতে ৬০৷৬৫০০০ হাজার টাকা ব্যয়িত হইয়াছে। এখানে পূৰ্ব্বে খেয়াঘাট ছিল, তাহাতে বৎসর প্রায় ৩০০০ টাকা আয় হইত। এখান হইতে দক্ষিণ দিকে যাইয়া এক স্থানে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “পিতামহ ! একটা মদের ভাট দেখুন। এই ভাটীতে রম্ নামক একপ্রকার মদ প্রস্তুত হইয়া থাকে। সম্প্রতি মদের ভাটীতেই দেশটাকে উৎসন্ন দিলে। ওদিকে দেখুন রেলওয়ে মাল মসলার কারখানা ।” দেবগণ ইহার পর একটী ক্ষুদ্র অথচ সুন্দর পরিষ্কৃত বাড়ী দেখিয়া ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।