বালি 8අළු ভূগোল ও পদার্থবিদ্যার শিক্ষকতাকার্য্যে নিযুক্ত হন। এই সময় ইনি ভূগোল প্রণয়ন করেন এবং “বিদ্যাদর্শন” নামক একখানি মাসিক পত্রে প্রবন্ধাদি লিখিতে থাকেন। ১৭৬৫ শকে তত্ত্ববোধিনীপত্রিকা প্রচার হইলে ইনি তাহার সম্পাদকের পদ প্রাপ্ত হন। এই সময়ে ইনি মেডিকেল কলেজে রসায়ন ও উদ্ভিদবিদ্যার উপদেশ শুনিতেন। ইনি “বাহ বস্তুর সহি ত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ” প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ ; “চারুপাঠ” প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ ; “ধৰ্ম্মনীতি” ; “পদার্থ বিদ্যা” ; “ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়” ; “ধৰ্ম্মোন্নতি সংসাধন” ; “বাষ্পীয়রথারোহণবিধি” পুস্তক প্রণয়ন করেন । ইহঁার মতে প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে কার্য্য করাই ধৰ্ম্ম এবং না করাই অধৰ্ম্ম ১৭৭৭ শকে কলিকাতায় নৰ্ম্মাল স্কুল সংস্থাপিত হইলে ইনি তাহার প্রধান শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হন। অল্প দিন পরে গুরুতর মস্তিষ্কের পীড়ায় আক্রান্ত হইয়৷ ইনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। বুদ্ধি ও জ্ঞানের পরিপক অবস্থায় ইনি গুরুতর রোগে অকৰ্ম্মণ্য হইয় পড়েন। দেশের হিত উদ্দেতে অতিশয় শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমই এই পীড়ার কারণ। দেবগণ দেখিতে দেখিতে ক্রমে উত্তরপাড়ায় যাইয়া উপস্থিত হইলেন। বরুণ কহিলেন, “এই স্থান পূৰ্ব্বে বালির উত্তর পাড়া বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল । এক্ষণে এখানে অনেক ধনী লোক হওয়ায় তাহারা উত্তরপাড়াকে একটি স্বতন্ত্র গ্রাম বলিয়া উল্লেখ করেন।” ক্রমে সকলে ডাকঘরের নিকট দিয়া স্কুলের নিকট উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “উত্তরপাড়ার স্কুল দেখুন। পল্লীগ্রামে যত স্কুল আছে তন্মধ্যে এই স্কুলটা সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । ইহা হইতে বৎসর বৎসর অনেক ছাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া থাকে। উত্তরপাড়ার ধনাঢ্য ও বিখ্যাত জমীদার বাবু জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের যত্নে ও সাহায্যে এই স্কুলট প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তিনি এই বিদ্যালয়ের বায়নিৰ্ব্বাহাৰ্থ একখানি তালুক দান করিয়াছেন । ঐ তালুকের আয় হইতে ইহার খরচ উত্তমরূপে চলিতে পারে। স্কুলবাড়ীটি
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।