86.8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন দোতাল এবং চতুপার্থে পাউণ্ড। স্কুলের মধ্যে একটা পুস্তকালয় আছে। পুস্তকালয়ে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পুস্তকাদি প্রাপ্ত হওয়া যায়।” ব্ৰহ্মা । দেখ বরুণ! কলিতে অন্নদান ও বিস্তাদান অপেক্ষ পুণ্য নাই। জয়কৃষ্ণ বাবু এই সৎকাৰ্য্য স্থ পুণ্য সঞ্চয় করিয়াছেন । এখান হইতে সকলে একটা ক্টর নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলে দেবরাজ জিজ্ঞাসা করিলেন “বরণ এ বাড়ীটি কি ?” বরুণ । দাতব্য চিকিৎসালয় । এই চিকিৎসালয়টতেও জয়কৃষ্ণ বাবু যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছেন। এখানে প্রতিদিন প্রাতঃকালে বিনা মূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হইয়া থাকে। তদ্ভিন্ন অনেক রোগীকে চিকিৎসালয়ে রাখিয়া বিনা ব্যয়ে ঔষধ ও পথ্যাদি দিয়া আরোগ্য করা হয় । দেখিতে দেখিতে সকলে উত্তরপাড়া সাধারণ পুস্তকালয়ে যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “এই বাড়ীতে সাধারণ পুস্তকালয় আছে । বাড়ীটি কলিকাতার টাউনহলের ফ্যাসানে নিৰ্ম্মিত । পুস্তকালয়ে ইংরাজী, বাঙ্গালা ও সংস্কৃত পুস্তক এত আছে যে, দেখিলে চমৎকৃত হইতে হয়। তদ্ভিন্ন যাবতীয় সাময়িক পত্রাদিও গ্রহণ করা হইয়া থাকে, পুস্তকালয়টার খরচের জন্ত জয়কৃষ্ণ বাবু একখানি তালুক দান করিয়াছেন। তাহার দ্বিতীয় পুত্ৰ সৰ্ব্বদা ইহার তত্ত্বাবধান লওয়াতে দিন দিন উন্নতিও হইতেছে। পুস্তকালয়ের উপরের গৃহগুলি অতি সুন্দররাপে সাজান। কোন ইংরাজ কিংবা সম্রান্ত বাঙ্গালী বাসের জন্ত প্রার্থনা করিলে বিনা ভাড়ায় দুই এক মাস থাকিতে পান ।” এখান হইতে সকলে বঙ্গবিদ্যালয় দেখিয়া ভাগীরথীতীরে একটা বাধা ঘাটের নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলেন এবং তীরে কতকগুলি সুন্দর সুন্দর ঘাট দেখিয়া দেবতারা আনন্দানুভব করিতে লাগিলেন। বরুণ কহিলেন এই ঘাটটি জয়কৃষ্ণবাবুর এবং ওদিকের ঐ ঘাটটি হরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ।” দেবতার হরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাটের নিকট যাইয়া দেখেন—একটা
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।