বরুণ। উহ శ్లాస్ట్లో প্রভৃতি স্থানের মহাজনদের যে সমস্ত মালামাল আমদানী হয়,তাই বালি ষ্টেশন হইতে আনিয়া এই গুদামে জমা করে, তৎপরে এখান হইতে অবসরক্রমে লইয়া যায়। পূৰ্ব্বে ষ্টেশনে মাল রাখিবার অসুবিধা থাকায় মহাজনদিগের বিস্তর ক্ষতি হইত। জয়কৃষ্ণবাবু এই গুদামঘরটা করিয়া দিয়া বস্ত প্রতি কিছু কিছু করশ্বরূপ গ্রহণ করেন। ইহাতে মহাজনদিগেরও যথেষ্ট সুবিধা হইয়াছে এবং তাহারও লাভ হইতেছে। - স্বানাস্তে দেবগণ বাজারে যাইয়া জলযোগ করিতে লাগিলেন। বক্ষণ কহিলেন, “এই বাজারের দোকান ঘরগুলি জয়কৃষ্ণ বাবু পাকা করিয়া দিয়াছেন।” পিতামহ সন্দেশ গালে দিয়া কহিলেন, “জয়কৃষ্ণ বাবুর এত কীৰ্ত্তি দেখিতেছি, ইনি এমন বিপুল ঐশ্বৰ্য্যের কিরূপে অধিকারী হইলেন ?” বরুণ। ইহঁার পিতার নাম জগন্মোহন মুখোপাধ্যায়। ইহার পিত পুত্রে সৈনিক বিভাগে কৰ্ম্ম করিতেন । ভরতপুর আক্রমণের সময়ে কিছু টাকা পান । দেশে আসিয়া ঐ টাকায় বিষয় খরিদ করিতে থাকেন। তৎপরে পিতা ও পুত্রের যত্নে ঐ টাকায় এক্ষণে প্রায় পাঁচ ছয় লক্ষ টাকা আয়ের বিযয় হইয়াছে ” দেবগণ জলযোগ করিয়া পুনরায় নগর ভ্রমণে চলিলেন। যাইতে যাইতে একস্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন,—একটা বাড়ী হইতে কতকগুলি
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।