বালি । 86:S, স্বার খুলিতে যাইয়া দেখে দ্বারে চাবি বন্ধ। দেবগণ সেই রুদ্ধ কামরায় কয়েদী অবস্থায় বসিয়া ষ্টেশন দেখিতে লাগিলেন। দেখেন—ষ্টেশনে ধূমধামের সীমা পরিসীমা নাই। অসংখ্য সাহেব, মেম, বাঙ্গালী বাবু প্লাটফরমে বেড়াইতেছে। কুলির দুই ঠ্যাং বিশিষ্ট দুই চাকার গাড়ীতে আরোহীদিগের বাক্স প্যাটুরা বোঝাই করিয়া ঘড়ঘড় শব্দে এক প্রান্ত হইতে অপর প্রাস্তে টানিয়া লইয়া গিয়া ছম দাম্ শব্দে আছড়াইয়া ফেলিতেছে ; চতুৰ্দ্দিকৃ হইতে চাই পান” “চাই জলখাবার” শব্দ হইতেছে। মেথরের কাটা বগলে ছুটাছুটি আরম্ভ করিয়াছে। কুঁজ হস্তে মুসলমানের জল দিতে বাহির হইয়াছে। তাহারা গাড়ীর অপর কামরার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া দেখেন—আরোহীরা নিজ নিজ তল্পী তল্লা গুছাইয়া নামিবার জন্ত প্রতীক্ষা করিতেছে। তাঁহাদের কাহারও দুই তিন দিন স্বান আহার না হওয়ায় এক অপূৰ্ব্ব ঐ বাহির হইয়াছে, তাহার উপর আবার পাথুরে কয়লার গুড়া লাগিয়া বস্ত্র মলিন হওয়ায় যেন প্রেত্যাটার ফেরত বোধ হইতেছে । - এই সময় শ্ৰীকৃষ্ণের অনুপস্থিতিতে তদ্স্রাতা বলভদ্রের স্তায় একজন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ আসিয়া আরোহীদিগকে মুক্ত করিবার অন্ত “খটাস খটাস" শঙ্গে গাড়ীর দ্বার খুলিয়া দিল। তখন কারাগার হইতে উদ্ধার হইয়া অসংখ্য ইংরাজ, বাঙ্গালী, মুসলমান, য়িহুদী, কাবুলী যাত্রী গেট অভিমুখে চলিল । দেবগণ কাবুলী যাত্রীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। নারায়ণ কহিলেন "চালাক বটে ইহারা ! নিজে মাশুল দিয়ে এসেছ—কিন্তু পৃষ্ঠে করিয়া এক একটা বিরাশী মণ বোঝাই আমি আনিয়াছে।” এই সময় ষ্টেশনে অসংখ্য বস্তা সাজান দেখিয়া পিতামহ কহিলেন, “বরুণ! ইহাতে কি আছে ?” বরুণ। চাউল, ধান, তিসি ইত্যাদি । ব্ৰহ্মা । তবে মল্লুকের শস্তাদি কলের গাড় পুঠে এনেছে বল । দেবগণ যাত্রীদিগের সহিত ষ্টেশনের বাহিরে আলিয়া দেখেন অসংখ্য
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।