পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8v8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন রূপে গিয়া ওখানে বিরাজ করিতেছে। আমার চুনাপুটরাও সেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কেরাণী রূপে বিরাজ করিতেছে। ধীবরেরা তথায় যাইয়া উচ্চ উচ্চ পদ পাইয়৷ মধ্যে মধ্যে ক্ষেপলা ফেলে সেই সমস্ত চুনাপুটর প্রাণ লইতেছে । পিতঃ ! আমার সকল মুখই গিয়াছে, দুঃখ ভোগের জন্ত আর কেন এখানে রেখেছেন? আমি একে মনের দুঃখে কাতর, তাহার উপর আবার বৃদ্ধ পিতা মাত আসিয়া প্রাণাধিক পুত্রকে বিসর্জন দিয়৷ আমার তীরে বসিয়া কঁাদিতেছে, পতি আসিয়া পত্নীকে চিতার উপর শয়ন করাইয়া শোকে তাপে কঁাদিতে কঁাদিতে সেই জলস্ত চিতাতে লাফাইয়া পড়িবার চেষ্টা করিতেছে ; স্ত্রী আসিয়া জীবনাধিক স্বামীকে এই স্থানে রাখিয়া কপালে করাঘাত ও ক্রনন করিতেছে ; বাবা! আমার যখন সবই গিয়াছে, এগুলো আর দেখতে হয় কেন ? আর আজকাল দেশের বা এমন দশা কেন ? আগে ত বুড়া মা বাপকে ফেলে উপযুক্ত ছেলে পলাত না, আগে ত পতি পত্নীকে অসময়ে অসহায়া করে চলে যেত না, আগে ত স্ত্রী পতির প্রতি বিমুখ হয়ে অসময়ে পতিকে এমন কাদাত না। বাবা! আজকাল দেশের দশা কেন এমন হ’লে ? কালের পরিবর্তনে কি তোমার হাতের লেখাও ফিরে দাড়িয়েছে ? ব্ৰহ্মা। না মা ! আমার লেখা ঠিকই আছে। তবে লোৰে শারীরিক নিয়ম লঙ্ঘন করায় ঐরূপ ঘটিতেছে! যাহা হউক, ভাগীরথি। তোমার কষ্ট গুনে মনে বড় কষ্ট পেলাম। সকলই অদৃষ্ট। তুমি অদৃষ্ট উপর নির্ভর করিয়া মনের কষ্ট দূর কর । গঙ্গা অদৃষ্ট সত্য, কিন্তু আমার মত দুরদৃষ্ট কার? দেখ বাবা! যে বেঁধেছে—উহার উপর দিয়া দিন রাত কামাই নেই—অনবরতই গা ঘোড়া যাচ্চে, আর হাজার হাজার লোক পারাপার হ’চ্চে । সকলেরই : একটু বিশ্রামের সময় আছে, আমার ভাগ্যে চক্ষের পদ্ধক ফেলিব সময় নেই। রজনীতে ব্যথিত শরীরে যদি একটু নিদ্রা যাইবার উদেয়া